ডারবানে প্রোটিয়াদের ক্রমেই বাড়তে থাকা সংগ্রহকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ। সাউথ আফ্রিকার লিড আড়াই শ ছাড়ালেও টাইগাররা তাদের ৭টি উইকেট তুলে নিয়েছে।
চা-বিরতি থেকে ফিরে তৃতীয় সেশনের শুরুতে দুটি উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৮৩। লিড ২৫২ রানের।
১১ রান করা উইয়ান মালডারকে আউট করেন মেহেদী মিরাজ। এরপর কেশভ মহারাজকে ৫ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন আহমেদ।
চতুর্থ দিনের শুরুতে কয়েকটি সুযোগ পেলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৯তম ওভারে এবাদত হোসেনের গুড লেন্থের এক ডেলিভারি ইনসুইং করে আঘাত হানে সারেল এরউইর প্যাডে।
প্রথমে আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিতে দেরি করেননি এবাদত। সেই রিভিউ থেকে আউটের সিদ্ধান্ত আসে। তাতে ৫১ বল খেলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় এরউইকে।
উইকেটের এক প্রান্ত ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন ডিন এলগার। ৩৪ রানে শান্ত ও ৪৩ রানে ইয়াসির আলি রাব্বির হাতে জীবন পান তিনি। জীবন পেয়ে সেটি কাজে লাগাতে বিন্দুমাত্র দেরি করেননি তিনি। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম হাফ সেঞ্চুরি।
এলগার ও কিগান পিটারসেনের ব্যাটে ভর করে ১৫০ রানের লিড ছাড়ায় স্বাগতিকরা। ১৭৪ রানের লিড নিয়ে যায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে।
বিরতি থেকে ফিরে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকা হয়নি এলগারের। তাসকিন আহমেদের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পরে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এই উইকেটটিও বাংলাদেশ পায় রিভিউর বদৌলতে।
চতুর্থ দিনের শুরু থেকে ক্যাচ মিসের মহড়া দিচ্ছিল বাংলাদেশ। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের ক্যাচই দুইবার ছাড়েন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর সে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথমে ক্লোজ ইনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে কিগান পিটারসেনকে ফেরান মাহমুদুল হাসান জয়। বোলার ছিলেন মেহেদী মিরাজ।
পরের ওভারে এবাদতের ডেলিভারিতে টেম্বা বাভুমার ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বল স্লিপে বাম হাতে দারুণ দক্ষতায় লুফে নেন ইয়াসির রাব্বি।
চা-বিরতির সময় সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫৭।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৬৭ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। এরপর ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২৯৮ রান।