ডারবানে চলছে বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকার সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংস থেকেই দেখা যাচ্ছে বিতর্কিত আম্পায়ারিং। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত যাচ্ছে স্বাগতিকদের পক্ষে।
ম্যাচের আম্পায়ার দুইজন সাউথ আফ্রিকান। এমনকি থার্ড আম্পায়ারও স্বাগতিক। কোভিড মহামারির কারণে ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আইসিসি।
আর সে কারণে আম্পায়ারের বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত যাচ্ছে স্বাগতিকদের পক্ষে।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের কথাই ধরা যাক। লিটন দাসের ব্যাটিংয়ের সময় দুই-দুইবার তাকে প্রথম কলে আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। রিভিউ নেয়ার পর দেখা যায় একটিতেও আউট ছিলেন না লিটন।
প্রথমবার আউট দেয়া হয় এলবিডব্লিউয়ের প্রেক্ষিতে। লিটন রিভিউ নেয়ার পর দেখা যায় বল উইকেটে লাগত না। আম্পায়ার সেটি বিনাদ্বিধায় আউট দিয়ে দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয়বার যখন আউট দেয়া হয় কট বিহাইন্ডের। সেটিতেও রিভিউ নেন লিটন। তখন দেখা যায় বল লিটনের ব্যাটে লাগেনি। লেগেছিল তার কোমরে। সেটিও ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দেন।
এর উলটো চিত্র সাউথ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে। এবারে দুই প্রোটিয়া ব্যাটার তিনবার এলবিডব্লিউ হওয়া স্বত্বেও ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন নির্বাক। দুটি ছিল ডিন এলগারের। একবার এরউইর।
প্রথমটিতে বাংলাদেশ রিভিউ নেয়নি। বাকি দুটি রিভিউ নেয়ার পর দেখা গিয়েছে সেগুলো পরিষ্কার আউট।
এমন একপেশে আম্পায়ারিংয়ের দিকে আঙুল তুলেছেন জাতীয় দলের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। দলের সঙ্গে না থাকলেও আমেরিকা থেকে সতীর্থদের খেলায় নজর রাখছেন ঠিকই।
আইসিসির নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফেরত আনার দাবি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমার মনে হয় আইসিসির উচিৎ এখন নিরপেক্ষ আম্পায়ারের ব্যবস্থা করা। কেননা বেশিরভাগ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের কোভিড পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিকের পথে।’
সাকিব বর্তমানে আমেরিকা আছেন। দ্বিতীয় টেস্ট খেলবেন কি না সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।