২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে দেশের ৬৪ জেলার স্কুলের ক্ষুদে ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। কোভিডের কারণে ২০২০ সালে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গেল বছর বসেনি টুর্নামেন্টটির আসর।
এক বছর বিরতি দিয়ে চলতি বছর আবারও বসতে যাচ্ছে টুর্নামেন্টটি। ৮ এপ্রিল থেকে মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটির এবারের আসর।
প্রতিবার পাঁচ শতাধিক স্কুল অংশ নিলেও চলতি বছর সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪৮টিতে।
যে স্কুলগুলো অংশ নিতে পারছে না, তাদের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের জন্যও থাকছে সুযোগ। টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া প্রতিটি স্কুল ৫ জন করে অতিথি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে। আর এই পাঁচ জন ক্রিকেটার হবেন বাদ পড়া স্কুলগুলোর।
একইসঙ্গে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের পর্যবেক্ষণে রাখা ও সঠিক তত্ত্বাবধানের জন্য এবার থেকে একটি ডেটাবেজ চালু করতে যাচ্ছে বোর্ড। সেখানে ৭ হাজার ক্রিকেটারের সবার তথ্য থাকবে বলে নিশ্চিত করছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান ওবেদ নিজাম।
প্রত্যেক ক্রিকেটারের আলাদা ‘আইডেন্টিফিকেশন’ নম্বর থাকবে, যা দিয়ে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
এবারের টুর্নামেন্টে বেশ কিছু চমকপ্রদ সংযোজন এনেছে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটি।
টুর্নামেন্টের সেরা ১৫ ক্রিকেটারকে বাছাই করে স্কুল ক্রিকেটে একটি দল গঠন করা হবে। সেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘অল স্টার’। এরপর সেই দলকে আলাদাভাবে অনুশীলন করানো হবে, সেই সঙ্গে খেলানো হবে ম্যাচও।
একইসঙ্গে দলটিকে দেশের বাইরে সফরে পাঠানোর পরিকল্পনাও করছে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটি।
নারী আম্পায়ারদের উন্নয়নের অংশ হিসেবে ২৫ জন নারী আম্পায়ারকে এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে বোর্ড।
প্রথম পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হবে তিন জেলায়, যেটি শুরু হবে আগামী শুক্রবার থেকে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায়ও খেলা শুরু হবে। জেলা পর্যায়ে ম্যাচ হবে ৫৮১টি।
জেলা চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে ৫৭টি ম্যাচ। এরপর ৭ বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর সেরা দলগুলি নিয়ে হবে জাতীয় পর্যায়ের খেলা।