সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩০০ রানও করতে দিল না সাউথ আফ্রিকা। ওয়ান ম্যান আর্মি মাহমুদুল হাসান জয় প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত ২৯৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংসের চাকা। আর ৬৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে যাচ্ছে স্বাগতিকরা।
ডারবান টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৮ রানে চার উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ স্কোরশিটে ৩ রান যোগ করতেই হারায় দিনের প্রথম উইকেট। আগের দিন শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামা তাসকিন তৃতীয় ওভারে লিজার্ড উইলিয়ামসের বলে উইয়ান মালডারের হাতে ধরা পড়েন।
তবে সঙ্গী দিনের শুরুতে বিদায় নিলেও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি মাহমুদুল হাসান জয়। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক।
তিনবার জীবন পাওয়া লিটনও কম যাচ্ছিলেন না। দুইবার ক্যাচ মিস ও একবার রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া লিটন সঙ্গ দিচ্ছিলেন বেশ ভালোই। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই দুইজন গড়েন ৮২ রানের জুটি।
কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই হতাশায় ডোবান লিটন দাস। উইলিয়ামসের দুর্দান্ত এক ইনসুইঙ্গার লিটনের প্যাড ছুঁয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। আর তাতেই তিনবার জীবন পেয়ে চতুর্থবারে সাজঘরের পথ ধরতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
তবে লিটনের বিদায়ও খুব একটা প্রভাব ফেলেনি জয়ের ওপর। ইয়াসির রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে চালাতে থাকেন ব্যাট। ২৬৯ বল খেলে পাক্কা টেস্ট খেলোয়াড়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাউথ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি।
শুরু থেকেই কামড়ে ধরে বসেছিলেন উইকেট। এক প্রান্তে যখন আসা যাওয়ার মেলা, অপরপ্রান্ত থেকে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন জাতীয় দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটি।
সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরও একটিবারের জন্যও ধৈর্য্যহারা হতে দেখা যায়নি জাতীয় দলের এই তরুণ তুর্কিকে। একাই টেনে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
অপরপ্রান্ত থেকে রাব্বি, মিরাজ কিছুটা সাপোর্ট দিলেও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি জয়কে।
ইনিংসের প্রথম বল থেকে খেলা শুরু করে জয় খেলেছেন একেবারে শেষ বলটি পর্যন্ত। কিন্তু শেষতক দলকে লিড এনে দেয়া সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। ৩২৬ বল খেলে ১৩৭ রানেই উইলিয়ামসের তৃতীয় শিকার হন তিনি। আর সেই সঙ্গেই ২৯৮ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।