বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশ শিবিরে হার্মারের জোড়া আঘাত

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৪৬

সাইমন হার্মারের ব্যাক টু ব্যাক আঘাতে ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। যার ফলে ৮০ রান তুলতেই তিন উইকেট নেই সফরকারীদের। 

সাউথ আফ্রিকায় সিরিজের প্রথম টেস্টে পরিণত ব্যাটিংয়ের নিদর্শন দেখিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছে বাংলাদেশ। সাইমন হার্মারের ব্যাক টু ব্যাক আঘাতে ফিরে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। যার ফলে ৮০ রান তুলতেই তিন উইকেট নেই সফরকারীদের।

প্রোটিয়াদের অল্পতেই আটকে দিয়ে নিজের প্রথম ইনিংসের শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল দেখে-শুনেই। ১০ ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিলেও একাদশতম ওভারে টাইগার শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সাইমন হার্মার।

প্রোটিয়া এই স্পিনারের গুড লেন্থের বল কিছুটা লো হয়ে আঘাত হানে সাদমানের স্ট্যাম্পে। আর তাতেই ৯ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।

এরপর জয়কে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন নাজমুল শান্ত। করতে থাকেন ধৈর্যশীল ব্যাটিং। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ় হাতে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ।

কিন্তু হুট করেই যেন খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। দলীয় ৮০ রানে হার্মারের দ্বিতীয় শিকার বনে ৮৭ বলে ৩৮ রান করে মাঠ ছাড়েন শান্ত। এক ওভার বাদেই স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই রানের খাতা না খুলে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল হকও। যার ফলে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয় চোখ রাঙ্গাচ্ছে বাংলাদেশকে।

এর আগে টেইল এন্ডারদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশের সামনে ৩৬৭ রানের পুঁজি নিয়ে ইনিংস শেষ করে সাউথ আফ্রিকা।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন খালেদ আহমেদ। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার কাইল ভেরেইনকে দিনের পঞ্চম ওভারে আউট করেন তিনি।

খালেদের ফুল লেংথ ডেলিভারির লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন ভেরেইন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮। পরের বলেই মালডারকে স্লিপে মাহমুদুল জয়ের ক্যাচে পরিণত করেন খালেদ। মালডার রানের খাতা খোলার সুযোগ পাননি।

তবে তৃতীয় বল নতুন আসা ব্যাটার কেশভ মহারাজ খেলার চেষ্টাই করেননি। ফলে হ্যাটট্রিক হয়নি খালেদের।

ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই পেইসার।

খালেদের জোড়া আঘাতের পর উইকেট আগলে ধরে দলকে এগিয়ে নেয়র মিশনে নামেন বাভুমা ও মহারাজ। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে তাকে ফিরতে হয় মিরাজের শিকার বনে।

পরের ওভারের প্রথম বলেই এবাদত সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন মহারাজকেও। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

এরপর টাইগার বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন সাইমন হার্মার ও লিজাড উইলিয়ামস। খেলতে থাকেন মাটি কামড়ানো শট। সেই সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। দলকে পার করান ৩৫০ রান।

শেষ পর্যন্ত ৩৬৭ রানেই থেমে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংসের চাকা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট পান খালেদ আহমেদ। ৩টি উইকেট যায় মেহেদী মিরাজের ঝুলিতে। আর ২টি উইকেট পান এবাদত হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর