দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম দিনে বাংলাদেশের সামনে চার উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের পুঁজি নিয়ে দিন শেষ করেছে সাউথ আফ্রিকা। ৫৩ রানে দিনশেষে অপরাজিত রয়েছেন টেম্বু বাভুমা ও ২৭ রানে কাইল ভেরেইনি।
ডারবানে ম্যাচের শুরু থেকেই লেগে ছিল বিপত্তি। সাইড স্কিন সমস্যায় ম্যাচ শুরু হয়েছিল ৩২ মিনিট পর। আর এই বিপত্তির শেষ হয় আলো স্বল্পতায় প্রায় ১৩ ওভার আগে খেলা শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে।
কিংসমিডে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনটা নিজেদের হাতেই রেখেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউই।
কিংসমিডের প্রাণবন্ত ও বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশের বোলাররা খেই হারিয়েছে। কখনও বাউন্সারের আশায় শর্ট বল, কখনও বা সুইংয়ের আশায় ফুল লেংথ বল করেছেন এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদরা।
এর পূর্ণ ফায়দা নিয়েছেন দুই প্রোতিয়া ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিয়ে অনায়াসে শত রান যোগ করেন গড়েন দুই ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের ২০তম টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করার পর আউট হন এলগার। খালেদ আহমেদের বলে ৬৭ রানে এলগারের বিদায়ে ভাঙে ১১৩ রানের জুটি।
এরপরই আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। তার বলে প্লেইড অন হন সারেল এরউই। সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১১৭।
টানা দুই উইকেট হারানোর পর কিগান পিটারসেন ও কাগিসো রাবাডা মিলে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে এ জুটিকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ।
১৯ রান করে পয়েন্ট থেকে মেহেদী মিরাজের ডিরেক্ট থ্রোতে রানআউট হন পিটারসেন। সাউথ আফ্রিকা হারায় তাদের তৃতীয় উইকেট।
এরপর চা বিরতি থেকে ফিরে বেশিদূর উইকেটে থাকা সম্ভব হয়নি রিকেলটনের। এবাদতের লেন্থ বল মিড অনে পুল করে মুমিনুলের হাতে ধরা দেন তিনি। সেই সুবাদে ২১ রানে থেমে যেতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটারকে।
এরপর দলকে টেনে নেয়ার মিশনে নামেন টেম্বু বাভুমা। তুলে নেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক। কাইল ভেরেইনিকে সঙ্গে নিয়ে খেলা বন্ধের আগ পর্যন্ত ধরে রাখেন উইকেট। আর প্রথম দিনের শেষে বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করান ২৩৩ রানের পুঁজি।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন খালেদ, মিরাজ ও এবাদত।