ক্রিকেটের ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ছিলেন সাউথ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের পুরোধা। কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুও নিজ দেশে। এর পর নানা দেশ ঘুরে কোচ অ্যালান ডনাল্ড এবারে গুরু হয়ে এসেছেন মুস্তাফিজ-তাসকিন-শরিফুল-এবাদতদের। তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট সাউথ আফ্রিকা সিরিজ।
নিজের প্রথম পরীক্ষা বেশ ভালোভাবে উৎরে গিয়েছেন ডনাল্ড। বাংলাদেশ পেয়েছে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক ওয়ানডে সিরিজ জয়। সাউথ আফ্রিকান হয়ে নিজের ক্রিকেটীয় জ্ঞান নিজ দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে ডনাল্ড বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত জয়।
নিজ পেশায় তিনি যে কতোটা পেশাদার সেটির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কিংবদন্তি এ ফাস্ট বোলার। পুরোদস্তুর পেশাদার হওয়ায় খেলার সময় দেশের প্রতি আবেগ অনুভূতিকে দূরে ঠেলে রাখতে পারেন বলে জানান তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে সোমবার ডনাল্ড বলেন, ‘ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আমি ছিলাম। তখন আমি ব্ল্যাক ক্যাপসের কোচ ছিলাম। যখন আপনি কাজ করবেন তখন আবেগ নিয়ে করতে হবে। তখন (দেশের প্রতি) সব আবেগ অনুভূতি দূরে রাখতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এখন আমার গায়ের শার্ট, ট্র্যাকস্যুট ও ক্যাপ বদলে গেছে। প্রোটিয়াদের হয়ে আমি খেলেছি। তবে এখন ভূমিকা পাল্টেছে অন্য দলের হয়ে।’
ক্যারিয়ারে সাউথ আফ্রিকার হয়ে ৭২টি টেস্ট ও ১৬৪টি ওয়ানডে খেলেছেন ডনাল্ড। পেইস বোলার হিসেবে টেস্টে ৩৩০টি ও ওয়ানডেতে ২৭২টি উইকেট শিকার করেন তিনি। সেই সঙ্গে একটা সময় ছিলেন আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষ বোলার।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর এ প্রোটিয়া এখন খ্যাতি কুড়াচ্ছেন কোচ হিসেবে।
সাউথ আফ্রিকা সিরিজের আগে তাকে টাইগারদের পেইস বোলিং ইউনিটের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বোর্ড।