এ বছর বিসিবির স্বাধীনতা দিবস প্রীতি ম্যাচে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে দেখা গেছে দুই নারী আম্পায়ারকে। ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন জাতীয় নারী দলের সাবেক ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসি ও থার্ড আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন ডলি রানী সরকার।বাংলাদেশের ক্রিকেট এবারই প্রথমবারের মতো নারী আম্পায়ার দেখলো কোনো ম্যাচে। পরীক্ষামূলকভাবে নারী আম্পায়ারদের দায়িত্ব দিয়ে সেখান থেকে ভালো ফল পাওয়ায় বেশ খুশি বোর্ডের আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বোর্ডের এ পরিচালক জানান পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে এতোদিন নারীরা তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেননি।মিঠু বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি তাদের বেতন কাঠামো, বীমার আওতায় নিয়ে আসতে। প্রথমে জানতামই না মহিলাদের এতো ইন্টারেস্ট আছে আম্পারিংয়ে। ডকুমেন্ট দেখে জানলাম ১০০ জনের মতো পাস করা নারী আম্পায়ার রয়েছে, যাদের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।’নারী আম্পায়ারদের আরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে বলেও জানান মিঠু।মিঠু বলেন, ‘আম্পায়ারিং একটা চাপের কাজ জব মাঠে। সুতরাং এটা একটা অনুশীলনের ব্যপার। একজনকে যদি সুযোগই দেয়া না হয় তাহলে আমরা বুঝব কিভাবে? যখন আমরা সুযোগ পেলাম, তখন নারী আম্পায়ার দিয়ে শুরু করলাম। আজকের ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু। এরপর তাদের রিফ্রেশার কোর্স, অন্যান্য কোর্স করিয়ে বন্ধের সময় তাদের আরও অনুশীলন করাব।’
তবে এখনই দুই নারী আম্পায়ার দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা কিংবা বড় ম্যাচে তাদের আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। ধীরে ধীরে তাদের কাজের পরিধি বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।মিঠু বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা আছে যে স্কুল ক্রিকেটে তাদেরকে ব্যবহার করব। আপাতত একজন করে করব। এরপর আস্তে আস্তে দুই মহিলা আম্পায়ার ম্যাচ পরিচালনা শুরু হবে। জুনিয়র ক্রিকেটে নারী আম্পায়ার দেখতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সামনে আরও নারীদের সুযোগ করে দিব, তারা যদি ক্যারিয়ার হিসেবে এটিকে নিতে চায়, তারা সেটি করতে পারবে। নারীরা পাইলট হতে পারলে, সাংবাদিক হতে পারলে, প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে আম্পায়ার কেন না?’