টানা তৃতীয় টেস্ট ড্রয়ের পর চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কিছুটা স্বস্তিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেইল এন্ডারদের নৈপুণ্যে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৩২ রান তুলেছে ক্যারিবীয়রা। ২ উইকেট হাতে নিয়ে ২৮ রানে এগিয়ে স্বাগতিক বাহিনী। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২০৪ রানের জবাবে ১২৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর অষ্টম উইকেটে আলজারি জোসেফকে নিয়ে ৪৯ ও নবম উইকেটে কিমার রোচকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লিড এনে দেন উইকেটকিপার জশুয়া ডি সিলভা।
গ্রেনাডায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিনই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ১১৪ রানে নবম উইকেট পতনের পর শেষ উইকেটে জ্যাক লিচ ও সাকিব মাহমুদ ৯০ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে দ্রুত গুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন।
দ্বিতীয় দিন নিজেদের ইনিংস শুরু করে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সূচনা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৭ ওভারে ৫০ রান তুলেন অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট ও জন ক্যাম্পবেল। আগের ম্যাচের দুই ইনিংসে ১৬০ ও অপরাজিত ৫৬ রান করে টেস্ট ড্র’তে বড় ভূমিকা রাখা ব্র্যাথওয়েইট এবার ১৭ রানেই থামেন স্টোকসের শিকার হয়ে।
ব্র্যাথওয়েটেইর মত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরের দিকের ব্যাটাররা। ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকসের তোপের মুখে পড়ে ক্যারিবীয়দের মিডল-অর্ডার। ওকসের শিকার হয়ে এনক্রুমাহ বোনার ৪, জার্মেইন ব্ল্যাকউড ১৮ ও জেসন হোল্ডার খালি হাতে ফেরেন।
তার আগে ক্যাম্পবেলকে ৩৫ রানে ক্রেইগ ওভারটন ও শারমাহ ব্রুকসকে ১৩ রানে বিদায় দেন সাকিব মাহমুদ। এতে ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তম উইকেটে কাইল মেয়ার্সকে নিয়ে ৩৩ রান যোগ করেন ডি সিলভা। মেয়ার্সকে ২৮ রানে থামান স্টোকস।
দলীয় ১২৮ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মায়ার্সের আউটের পর বোলার জোসেফকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন সিলভা। ১২৯ বল খেলে ৪৯ রান উঠে ওই জুটিতে। জোসেফকে ব্যক্তিগত ২৮ রানে বিদায় দিয়ে জুটি ভাঙেন ওভারটন।
এরপর ক্রিজে ডা সিলভার সঙ্গী হন রোচ। দিনের শেষ অবধি অবিচ্ছিন্ন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লিড এনে দেন ডা সিলভা ও রোচ। ১০৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৫ রান যোগ করেন তারা। এই জুটিতেই টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান ডি সিলভা। ১৫২ বলে ৪টি চারে ৫৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন ডি সিলভা। ৫৩ বলে ৪টি চারে রোচ অপরাজিত ২৫ রানে।
ইংল্যান্ডের ওকস ৩টি, ওভারটন-স্টোকস ২টি করে উইকেট নেন।