নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা সফর বরাবরই বাংলাদেশের কাছে আতঙ্কের নাম। বিভিন্ন দেশে সিরিজ জয় করলেও এ দুই দেশে একেবারে শূন্য হাত ছিল টাইগারদের।
মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে পালটে গেল রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয়ের পর এবারে সাউথ আফ্রিকায় সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।
বছরের শুরুতে টেস্টে ইতিহাস রচনা করে টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো তাদের হারানোর স্বাদ পায় মুমিনুলের টেস্ট স্কোয়াড। ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ৮ উইকেটে।
সেই ধারা বাংলাদেশ ধরে রেখেছে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে এসেও। এবারে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রোটিয়াদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের যে কোনো ফরম্যাটে জয়ের স্বাদ।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯ উইকেটে। এতে করে আরও একটি ইতিহাস গড়ল লাল সবুজের জার্সিধারীরা।
দুই ইতিহাস গড়া ম্যাচে জয়ের নায়ক ভিন্ন দুইজন। তবে মিলটা তাদের এক জায়গাতে। দুইজনই পেইসার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবাদত হোসেনের সামনে ধসে পড়েছিল ব্ল্যাক ক্যাপদের ব্যাটিং লাইনআপ। দুই ইনিংস মিলিয়ে এবাদত সেবার নিয়েছিলেন সাত উইকেট।অপরদিকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া ম্যাচে জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহেই তাসকিন আহমেদ। একাই তিনি তার বোলিং তোপে গুড়িয়ে দেন সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং ইউনিট। ঝুলিতে পুরেছেন ৫ উইকেট।
গেল বছরের শেষটা হয় বাংলাদেশের হার দিয়ে। নতুন বছরে বাংলাদেশ ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙ্গে বেরিয়ে আসে নতুনরূপে। জয় দিয়ে বছর শুরু করে বাংলাদেশ। যেই জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে এখন পর্যন্ত।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ড্র করার পর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ জয় পায় আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। তবে সমতায় শেষ হয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
দেশের বাইরে দুর্বল হিসেবে পরিচিত দলটি গড়ে চলেছে ইতিহাস। সাউথ আফ্রিকার মাটিতে তারা প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে।
শুধু তাই নয় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার জন্য অত্যন্ত দরকারি আইসিসি সুপারলিগের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ।