তিন ফরম্যটের ক্রিকেটের জন্যই সাকিব আল হাসানকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই মোতাবেক চলতি বছর টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম্যাটে খেলতে হচ্ছে সাকিবকে।
চলতি বছরের শুরুতেই লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নেয়ার কথা বিসিবিকে জানিয়েছিলেন সাকিব। চলতি বছর এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকে মাঠে নামেননি সাকিব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছিলেন না। থাকছেন না সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে।
দুই সিরিজের সাকিব ছুটিতে। আর তাকেই কিনা রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে। আবার ছয় মাস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে থাকা তামিম নেই টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে। এক জায়গায় কেন তাহলে দুই আইন।
সাকিব চলতি বছরের শুরুতে বোর্ডকে টেস্ট খেলতে আনাগ্রহের কথা জানালেও কেন তাকে রাখা হল টেস্টের চুক্তিতে? উত্তরটা জানালেন জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক।
রাজ্জাক বলেন, ‘৬ মাসের ছুটির যে কথা বলছেন তা আনুষ্ঠানিক কিছু না। কেউ দুই সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে ৩ ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না ব্যাপারটা তেমন না। বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাকিব এখনও কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি।’
রাজ্জাকের দাবি সাকিব নিজে থেকে সরে না গেলে বোর্ড তাকে সরাতে পারবে না কোনো ফরম্যাট থেকে। সেটি একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন সাকিবের লাল বলের চুক্তিতে থাকার।
রাজ্জাক বলেন, ‘সাকিব মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন। এখনও সাকিবের সঙ্গে আমাদের ওরকমভাবে কথা হয়নি। যেহেতু হয়নি, হুট করে একটা কথা বলে দেওয়া ঠিক না। কথা হলে জানতে পারবেন।’
গেল বছরের চুক্তিতে তিন ফরম্যাটে সাকিব চুক্তিবদ্ধ থাকলেও চলতি বছরের শুরুতে নভেম্বর পর্যন্ত টেস্ট থেকে বিশ্রাম চেয়েছিলেন সাকিব। তার সেই আবেদন উপেক্ষা করে ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটের জন্য সাকিবকে চুক্তিবদ্ধ করেছে বোর্ড।