আসন্ন ফিফা উইন্ডো সামনে রেখে দেশের এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার নিয়ে জাতীয় দল গঠনের মিশনে নেমেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। সাবেক কোচদের দলকে ঢেলে সাজিয়ে নতুনদের নিয়ে মালদ্বীপ ও মঙ্গোলিয়া ম্যাচে নজর রাখছেন জাতীয় দলের এই হেড কোচ।
ইতোমধ্যে ৩০ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড তৈরি করে ফেলেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। দলে যে নতুনরা প্রাধান্য পাচ্ছেন তা-ও স্পষ্ট করেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
কাবরেরা বলেন, ‘দল চূড়ান্ত করতে আরও কিছু কাজ বাকি আছে। দলে এবার নতুন কিছু খেলোয়াড় দেখা যাবে।’
বাফুফে সূত্রে জানা যায়, নতুনদের মধ্যে প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেতে চলেছেন সাইফের ফুটবলার মারাজ হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন, মোহামেডানের মিডফিল্ডার আসিফ হোসেন ও শাহরিয়ার ইমন, চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও উত্তর বারিধারার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পাপন সিংহ।
তারা সবাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও নজর রেখেছেন কাবরেরা। ৪ ম্যাচে ৫ গোল করে আলোচনার জন্ম দেয়া বাফুফে এলিট একাডেমির ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলামও থাকছেন প্রাথমিক স্কোয়াডে। ফিফা উইন্ডোতে আগামী ২৫ ও ২৯ যথাক্রমে মালদ্বীপ ও মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচ দিয়ে কাবরেরা যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এই নতুন চ্যালেঞ্জে সফল হওয়ার প্রত্যাশা জাতীয় দলের হেড কোচের।
তিনি বলেন, ‘আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এই ম্যাচ দুটির জন্য। অবশ্যই আমার লক্ষ্য থাকবে দুই ম্যাচ জেতা। জেতার জন্যই মাঠে নামব। তার আগে উপহার দিতে চাই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ।’
তরুণ তুর্কীরাসহ ৩০ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড নিয়ে আগামী ১৮ মার্চ জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড নিয়ে ২২ মার্চ মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেবে কাবরেরা বাহিনী।