টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসর থেকে শুরু, সেই থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের ব্যাটিং ও ফিল্ডিং নিয়ে সমালোচনা হয়েছে অনেক। বারবার এই দুই ইউনিটের ব্যর্থতার কারণে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং কোচদের।
এমনকি এই দুই ইউনিটের ব্যর্থতার জের ধরে চাকরিচ্যুত হতে হয়েছে কোচদেরও। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কোচদের থেকেও তেমন একটা মিলছে না ফলাফল। এতে বারবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গি হচ্ছে বাজে ফিল্ডিং।
শেষ ১০ ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হারের মুখ দেখা সবগুলো ম্যাচেই বাংলাদেশের সঙ্গি হয়েছে ব্যাটিং বিপর্যয়। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, পুরো ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টই হতাশ করেছে দেশের ক্রিকেটভক্তদের।
পাশাপাশি ফিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট থেকে গত পাঁচ ম্যাচে ৯টি ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেই সঙ্গে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখা যায় মিস ফিল্ডিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইউনিটের এমন পারফরম্যান্স তাই স্বভাবতই সৃষ্টি করে সমালোচনার।
ছাত্রের ফলাফল খারাপ হলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পুরো দোষটাই হয় শিক্ষকের। জাতীয় দলের ক্ষেত্রেও ঘটেছে এমনটাই। ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে কোচদের।
কিন্তু ভিন্নমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটারদের ব্যর্থতায় কোচদের কোনো দোষ দেখছেন না দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির প্রধান।
সব দোষ ক্রিকেটারদের ওপর দিয়ে পাপন বলেন, ‘১০ ম্যাচে কে কী খেলেছে পারফরম্যান্স দেখেন? এখানে কোচের দোষ কী? কোনো ফিল্ডিং কোচ কি বলে ক্যাচ ছেড়ে দেও? যে পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছেন ওদের জবাবদিহিতার সুযোগ থাকছে না।’