আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বড় হার হয়েছে বাংলাদেশের। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিসের মহড়া চলেছে বাংলাদেশ শিবিরে পুরো ম্যাচ জুড়েই। যার খেসারতে ৮ উইকেটের হার দিয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করতে হয়েছে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এই ম্যাচে জয় পেলে আফগানিস্তানকে টপকে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের আটে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো বাংলাদেশের। সেটি সম্ভব হয়নি ব্যাটিং ব্যর্থতায়।
দলের হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩০ রান এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেছেন দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই দুইজন ছাড়া কেবলমাত্র নাঈম শেখ ও লিটন দাসের পক্ষে ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে দুই অঙ্কের রান। বাকিরা মাঠ ছেড়েছেন এক অঙ্কের ঘরে আটকে থেকেই।
সহজ লক্ষ্য ছুড়ে দিলেও শুরুতে আফগানদের ধসিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মাহেদী হাসান। দলীয় ৪ রানে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের কামব্যাকের।
কিন্তু একের পর এক ক্যাচ ও ফিল্ডিং মিসের কারণে হেসেখেলে জয় বাগিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা। অসংখ্য ফিল্ডিং মিসের ভেতর তিনটি ক্যাচ মিস বাংলাদেশকে ছিটকে দেয় ম্যাচ থেকে। শেষ ৫ ম্যাচের পরিসংখ্যান হিসেব করলে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা সেখানে ক্যাচ ছেড়েছে ৯টি।
হারের কারণ হিসেবে বাজে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং মিসকেই দুষছেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে এমনটাই জানান এই প্রোটিয়া।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘ব্যাটিং ভালো হয়নি, বোলিং ভালো হয়নি, এমনকি ফিল্ডিংও না। আমরা অনেক বেশি ভুল করেছি। এটা কি মনোযোগের অভাবে হচ্ছে, না আত্মবিশ্বাসের অভাবে হচ্ছে, না চাপের কারণে সেটা আমি পুরোপুরি বলতে পারব না। বাজে ফিল্ডিং করলে তার খেসারত আপনাকে দেয়া লাগবে। এটা আমাদের বিশ্বকাপে ভুগিয়েছিল, টেস্টেও ভুগিয়েছিল, এখানেও ভোগাচ্ছে।’
ডমিঙ্গো মনে করছেন শেরে বাংলার দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট ব্যাটারদের জন্য মোটেও সুবিধার ছিল না। যদিও আফগানিস্তানের ব্যাটারদের কাছে একই উইকেটে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। তারপরও প্রোটিয়া এই কোচের দাবি উইকেট কঠিন ছিল।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি না এই উইকেটে ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল, বিশেষ করে আজকের দিনে। হতে পারে প্রথম ইনিংসে উইকেট ভালো ছিল। তাই বলে এই না যে এটি ১১৫ রানের উইকেট। এটা ১৬০ রানের উইকেটও ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি ১৩৫ করতে পারতাম তাহলে সেখানে আশা ছিল। অবশ্যই ব্যাটিংয়ের কিছু অংশ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এই উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। আপনারা জানেন মিরপুরে ব্যাটিং করাটা কতোটা কষ্টের।’
ডমিঙ্গো মনে করেন এই ধরণের উইকেটের সাথে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মানিয়ে নেয়া অতি জরুরি।
প্রোটিয়া এই কোচ বলেন, ‘ব্যাটারদের এই ধরণের উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া জরুরি। মুশফিক বলেছিল ১৩৫-১৪০ ভালো স্কোর। ১০০ রানে যখন আমাদের চার উইকেট চলে গিয়েছিল, তখনো আমাদের হাতে আরও চার ওভার ছিল। সে সময় আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছি। বেশ কিছু ভুলে আমরা ১১৫ তেই থেমে গিয়েছি। এটা পর্যাপ্ত নয়।’