কুষ্টিয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে রোলার স্কেটিং। প্রায়ই ব্যস্ত সড়কে যানবাহনের ভিড়ের মধ্যেও ছুটতে দেখা যাচ্ছে পায়ে চাকা লাগানো শিশু-কিশোরদের। তবে নির্ধারিত জায়গা না থাকায় স্কেটিং প্রশিক্ষণ ও চর্চায় বিঘ্ন ঘটছে।
কুষ্টিয়ায় রোলার স্কেটিং প্রশিক্ষণ ও চর্চার জন্য কয়েকটি গ্রুপ হয়েছে। এদের কারণে দিন দিন শিশু-কিশোর স্কেটারের সংখ্যা বাড়ছে। এখানকার শিশু-কিশোররা স্বপ্ন দেখেন ভাল স্কেটার হওয়ার, জাতীয় পর্যায়ে এমনকি অলিম্পিকসে অংশ নেয়ার।
এদেরই একজন কিশোর স্কেটার সোহেল রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন্ধুকে দেখে আমিও স্কেটিং-এ আসছি। প্রথমে সাহস পেতাম না। এখন মনে হয়- ভাল সুযোগ পেলে অলিম্পিকসে যেতে পারব।
কুষ্টিয়া ডিসি পার্কে স্কেটিং চর্চা দেখছিলেন শিশু লাবিব। তিনি বলেন, ‘আমিও খেলব। মাকে বলেছি স্কেটস কিনে দিতে। দিলে শুরু করব।’
স্কেটিং করার মতো উপযোগী জায়গার সংকট রয়েছে কুষ্টিয়ায়। কখনো কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, কখনো ডিসি পার্কের মধ্যে চলে প্রশিক্ষণ। ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়কেও স্কেটারদের দেখা যায়।
কুষ্টিয়া স্কেটিং ক্লাবের কোচ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ক্লাবে দুই শর বেশি স্কেটার হয়েছে। করোনায় এদের উপস্থিতি কমে এসেছিল। আবার বাড়তে শুরু করেছে। বাধ্য হয়ে অনেক সময় সড়কে প্রাকটিস করতে হয়। আমি এটা কখনই সমর্থন করিনা। এতে দুর্ঘটনা হতে পারে। নির্ধারিত একটি গ্রাউন্ড বা স্কেটিং রিঙ্ক বা স্টেডিয়ামে হলে এই সমস্যা থাকবে না।’
ক্লাবের চেয়ারম্যান ফরহাদ খান রাব্বিও একমত কোচের দাবির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি আমার ক্লাবের ছেলেরা অলিম্পিকসে খেলবে। স্কেটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এরা মোবাইল ফোন বা মাদকের আসক্তি থেকে দূরে থাকবে। সেজন্য আলাদা স্টেডিয়ামের দাবি আছে অভিভাবকদেরও।’
কুষ্টিয়ার সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফও স্কেটিং রিঙ্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে। কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ায় শেখ কামাল স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জানান তারা রিঙ্ক ও স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন।