জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বোর্ডের বেতনভুক্ত। সে কারণে প্রায় সময় যখন জাতীয় দলের খেলা থেকে ক্রিকেটাররা সাময়িক বিশ্রামে যান তখন শুরু হয় তাদের নিয়ে সমালোচনা।
সমালোচকদের দাবি যেহেতু খেলার কারণে বোর্ড থেকে বেতন পান ক্রিকেটাররা, তাই সেটি তাদের চাকরি। আর তাদের চাকরিতে থাকতে হলে সব অবস্থায় তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সাউথ আফ্রিকা সফরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে আবারও জর্জরিত ক্রিকেট বোর্ড।
এর জবাব সোমবার দিলেন ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান জালাল ইউনূস। তিনি জানান ক্রিকেটাররা বোর্ডের চাকরি করেননা। তারা বোর্ডের অংশ।
জালাল চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিসিবি তো সে ধরণের সংস্থা না। দয়া করে তাদেরকে আমাদের চাকরিজীবী হিসাবে ধরবেন না। তারাও ক্রিকেটের একটি অংশ। তারা চুক্তি অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে বাঁধা থাকেন থাকেন। তবে সব শর্তই যে কঠিন থাকে তা তো না।’
সাউথ আফ্রিকা সফরে যেতে চান না সাকিব এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। ধারণা করা হচ্ছিল সেটা আইপিএলের জন্য। তবে আইপিএলে দল না পাওয়ায় সাকিব এখন সিরিজে খেলতে পারেন।
বিষয়টিকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখছে বোর্ড জানালেন, ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘কারও সমস্যা থাকলে বলতেই পারে। সিদ্ধান্তটা আমাদের। সে যদি চাই নির্দিষ্ট সময় টেস্ট খেলতে চায়, সে স্বাধীনতা কি তার নাই? দেখা যাক সে কী জানায়।
এখনও বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি সাকিব। তবে দুই একদিনের ভেতর বোর্ড সাকিবের সঙ্গে বসে একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলে জানান ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান।
ইউনূস যোগ করেন, ‘সে (সাকিব) বলেছে কালকে বা এই সিরিজ শেষে (ওয়ানডে সিরিজ শেষ হবার পরে) সভাপতি সাহেবের সঙ্গে বসবে। বসে তার পরিকল্পনা জানাবে।’
‘শুধু সাউথ আফ্রিকা সিরিজ না আমরা তার কাছে এক বছরের পরিকল্পনা চাইব। সে কতগুলো টেস্ট ম্যাচ খেলবে সেটা সেটা আমরা জানতে চাচ্ছি। সেটা ওয়ানডে সিরিজের পর আমরা জানতে পারব।’