টেস্টে নিয়মিত রান পেলেও ওয়ানডেতে সম্প্রতি খুব একটা ধারাবাহিক নন লিটন দাস। তাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে কী ওয়ানডেতেও কামব্যাক করলেন লিটন? এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় হয়তো আসেনি।
তবে আফগানদের বিপক্ষে ১৩৬ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পাওয়ার পেছনে টেস্টের মানসিকতা কাজ করেছে বলে জানান লিটন।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার ব্যাসিক্যালি চিন্তা ছিল, প্রথম দশ ওভার না, ওর স্পেল যতক্ষণ আছে ততক্ষণ টেস্ট ব্যাটিং মাইন্ডসেটে খেলার। কারণ আমি জানি, ১৫-১৬ ওভার যদি খেলে ফেলা যায় তাহলে ওয়েদার চ্যাঞ্জ হয়ে যায়, উইকেট ভালো হয়ে যায়, বোলার ডিফারেন্স হয়ে যায়। তখন জিনিসটা হ্যান্ডল করে নিতে পারব।
‘তো প্রথম প্ল্যানিং ছিল টেস্ট ব্যাটিং করা। টেস্টে যেভাবে আমি নরমালি শুরু করি... দশ ওভার পর্যন্ত খেলা।’শুরুতে ধীরে খেললে রানের চাকা অব্যাহত না থাকলে চাপ পড়ে ক্রিজে থাকা পার্টনারের ওপর। বিষয়টি কীভাবে সামলান প্রশ্নে লিটন ব্যাখ্যা দেন, ‘জিনিসটা তেমন না। জিনিসটা হচ্ছে, অবশ্যই ওপেনার হিসেবে আমার দায়িত্ব হলো রান করা, বড় ইনিংস খেলা। আমার প্রথম টার্গেট থাকে ৩৫ ওভার ব্যাটিং করা। আমি চেষ্টা করি, আমার যে ক্যালিবার আছে বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষে ৩৫ ওভার খেলতে পারলে অন্তত ৮০ রান করতে পারব।
‘ওই জিনিসটাই আজকে... এভাবেই যাচ্ছিল। যখন আমি আর মুশি (মুশফিকুর রহিম) ভাই খেলতেছিলাম, জুটিটা ভালো হচ্ছিল। যখন ৪০ ওভার পার করলাম, তখন আমরা চিন্তা করলাম যত রানটা এগিয়ে নেওয়া যায়। কারণ তখন আমরা দুজনই সেট। তো আমরা চেষ্টা করেছি ইউজ করার জন্য।’
আফগান সিরিজ বাদ দিলে ওয়ানডেতে সবশেষ ১০ ম্যাচে কোনও ফিফটি নেই লিটনের খাতায়। একটি সেঞ্চুরি আছে। তা বাদে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন লিটন। এমন অধারাবাহিকতায় সমর্থকদের ট্রলের শিকার হতে হয় লিটনকে। গত দুই বছরে কী পরিবর্তন এনেছেন লিটন?
বলেন, ‘খেলার মাইন্ডসেট যে কীভাবে খেললে খেলার সাকসেস রেটটা বেশি হয়। আপনারা সেঞ্চুরি দেখছেন কিন্তু এর মাঝে কিন্তু অনেকগুলো ইনিংস আমি খারাপও খেলেছি। ক্রিকেটটাই এমন আমি যেটা ফিল করি।
‘ওপেনার হিসেবে আপনি একদিন বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পাবেন, সুযোগ প্রতিদিনই থাকবে... বাট আপনি একদিন বড় খেলতে পারবেন একদিন খেলতে পারবেন না। কারণ আমি যখন ম্যাচ শুরু করি তখন তাদের সেরা দুই বোলার বোলিং করেন। অবভিয়াসলি চ্যালেঞ্জিং থাকে জিনিসটা।’
আফগানদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ১ রানে ক্রিজ ছাড়তে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। মুশফিকের সঙ্গে দারুণ জুটিও গড়েছেন। দল ৮৮ রানের বড় জয়ে সিরিজ বাগিয়ে নিয়েছে। ওয়ানডেতে সাফল্য ধারাবাহিক করতে টেস্টের মানসিকতা ধরে রাখতে চান লিটন।