আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে দুই শ ছাড়ানো জুটি গড়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। শক্ত হাতে হাল ধরে ২০২ রানের জুটি গড়েছেন তারা। এটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তৃতীয় উইকেট জুটি।
রেকর্ড গড়া সেই জুটি ভাঙ্গে ১২৬ বলে ১৩৬ করে লিটনের বিদায়ের মধ্য দিয়ে। পার্টনারের বিদায়ের পরের বলে ৮৬ করে ফেরেন মুশফিক। জুটিতে তারা বল খেলেছেন ১৮৪টি।
বাংলাদেশের হয়ে ২০২ রানের জুটিটি তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ। এর আগের সেরা জুটি ছিল তামিম ও মুশফিকের ১৭৮ রান ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আর সব জুটি মিলিয়ে এটি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পঞ্চম সেরা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেরা জুটি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জুটি তামিম ও লিটনের ২৯২ রানের।
২০২০ সালের মার্চে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ জুটি গড়েন তামিম ও লিটন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
আফগান পেইসারদের সামলে শুরুটা ভালো করলেও জুটি বড় করতে পারেননি তামিম ও লিটন। তামিমের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
২৪ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে ফজলহক ফারুকির শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে। স্কোরবোর্ডে সে সময় রান ৩৮।
তামিম ইকবালের বিদায়ের পর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। খেলছিলেন দেখেশুনে। উইকেটে কাটিয়ে দেন ৯ ওভার।
৪৫ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন সাকিব। ২০ রান করে রাশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ফলে বাংলাদেশ হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট।
দলের রান তখন ৮৩। সেখান থেকে দলকে দেড় শ রান পার করিয়েছেন লিটন ও মুশফিকুর। গড়েছেন শতরানের জুটি
ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করতে লিটন খেলেন ৬৫ বল। হাঁকান ৮টি ৪।
লিটনের পর ফিফটি তুলে নেন মুশফিকও। ক্যারিয়ারের ৪১তম ওডিআই ফিফটি করতে ৫৬ বল খেলেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।