সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি উপহার দিয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ধ্বংসস্তুপ থেকে ১৭৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন।
মজার বিষয় হলো, টার্গেটে নেমে জয়ের ব্যাপারে একে অপরের সঙ্গে কোনো কথাই বলেনি এই জুটি!
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে আফিফ হোসেন বলেন, ‘পুরো খেলাটায় আমরা ম্যাচ জেতানোর ব্যাপারে কথা বলি নাই। আমাদের জাস্ট কথা ওটাই ছিল যে আমরা উইকেট দেব না, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করব।’
৪৫ রানে ৬ উইকেট যাওয়ার পর মিরাজ-আফিফ অপরাজিত থেকে দলকে জয় উপহার দেন। সেজন্য ক্রিজে গিয়ে থিতু হওয়াটা প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল এই জুটির।
আফিফ বলেন, ‘৬টা উইকেট পড়ার পর আমাদের শুধু একটা লক্ষ্য ছিল আমরা উইকেট দেব না। এই লক্ষ্যটা নিয়েই ব্যাটিং করছিলাম, যে উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়।
‘আমাদের লক্ষ্য একটাই ছিল যে উইকেট দিবো না, রান যা আসবে... আসলে ভালো না আসলে কিছু করার নাই। শেষের দিকে তো খেলা বল টু বল ছিল। পরিকল্পনা ছিল কেবল স্বাভাবিক খেলাটা খেলব।’
তবে বোলারদের নিয়ে পরিকল্পনা রেখেছিল এই জুটি।
আফিফ কথায়, ‘ওদের যে ৩ জন স্পিনার ছিল তাদের বিপক্ষে পরিকল্পনা ছিল নরমাল খেলা। লাস্টে এদের ওভার শেষ হলে ৫ ওভার বাকি থাকতো। ওখানে একটা প্ল্যান, লাস্টের দিকে আরকি যখন খেলা অনেক দূর চলে গেছে, লাস্ট ৫ ওভারে যদি ৩০-৪০ বা ৫০ ও লাগে আমরা চেষ্টা করবো। আমরা যেন শেষ করতে পারি। ওদের স্পিনারদের উইকেট না দিয়ে ব্যাটিং করার পরিকল্পনা ছিল।’
সংকটকালীন সময়ে ৮১ রান করেন মিরাজ। সতীর্থের প্রশংসা করলেন আফিফ, ‘মিরাজ ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। ও পাশ থেকে অনেক... যখন বাউন্ডারি দরকার ছিল, অনেকগুলো ডট হয়ে গেছে তখন বাউন্ডারি এসেছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুজনের কথা অনেক ভালো হচ্ছিল। দুজনেই বুঝেছিলাম পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছিল যে উইকেট না দিলে সম্ভব ম্যাচটা জেতা।’
নিজে ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এ নিয়ে গর্ববোধ করেন আফিফ, ‘দেশের জন্য ভালো খেলাটা সবসময়ই গর্বের একটা ব্যাপার। তো চেষ্টা থাকে সবসময় ভালো করার। কোনো সময় হয় কোনো সময় হয় না। তো আজকে যেহেতু বড় একটা সুযোগ ছিল, এরকম বড় সুযোগ পাওয়া যায় না। বড় সুযোগ পেয়েছি এটা কাজে লাগাতে চেয়েছি।’