দলের টপ অর্ডাররা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত সে সময় শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রাখেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী মিরাজ। দুইজনের অবিচ্ছেদ্য ১০০ রানের জুটিতে ভর করে লড়াই করছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার পথে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ। পিছিয়ে থাকেননি মিরাজও। উইকেট কামড়ে ধরে ৭৯ বলে তুলে নেন দুর্দান্ত এক অর্ধশতক।
আফগানিস্তানের দেয়া ২১৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে দুর্দান্ত খেলেছিলেন দুই টাইগার ওপেনার; তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস।
কিন্তু খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই। দলীয় ১৩ রানে লিটন দাসকে দিয়ে শুরু। ফজল হক ফারুকির শিকার হয়ে এক রানে ফেরেন তিনি। সেই ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিম ইকবালকেও।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফারুকি তৃতীয় আঘাত হানেন বাংলাদেশের শিবিরে। এবারে তার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ৩ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিকুর রহিমকে।
অভিষেকটা রাঙ্গাতে পারেননি ইয়াসির আলি রাব্বিও। ফারুকির চতুর্থ শিকার বনে মাঠ ছাড়ার আগে ৫ বলেও রান করতে পারেননি। ফলে ১৮ রান তুলতে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বেশিদূর যেতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। মুজিব-উর-রেহমানের বলে প্লেইড অন হয়ে যান তিনি। ১০ রান করে অষ্টম ওভার আউট হন তিনি।
২৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে এসেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের জুটি। কিন্তু রাশিদ খান নিজের প্রথম ওভারেই মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান বাংলাদেশের।
এরপর দলকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেন আফিফ ও মিরাজ। দৃঢ়হাতে ব্যাটিং করে ১০০ রানের জুটি গড়ে দলীয় স্কোর ১৫০ পার করেন দুজন। এই দুজনের জুটি এখন জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।