২৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশের শেষ ভরসা হয়ে ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেনের জুটি। রাশিদ খান নিজের প্রথম ওভারে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান বাংলাদেশের।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে দুর্দান্ত খেলেন দুই টাইগার ওপেনার; তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস।
দলীয় ১৩ রানে লিটন দাসকে দিয়ে শুরু। ফজল হক ফারুকির শিকার হয়ে এক রানে ফেরেন তিনি। সেই ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিম ইকবালকেও।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ফারুকি তৃতীয় আঘাত হানেন বাংলাদেশের শিবিরে। এবারে তার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ৩ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিকুর রহিমকে।
অভিষেকটা রাঙ্গাতে পারেননি ইয়াসির আলি রাব্বিও। ফারুকির চতুর্থ শিকার বনে মাঠ ছাড়ার আগে ৫ বলেও রান করতে পারেননি। ফলে ১৮ রান তুলতে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বেশিদূর যেতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। মুজিব-উর-রেহমানের বলে প্লেইড অন হয়ে যান তিনি। ১০ রান করে অষ্টম ওভার আউট হন তিনি।
২৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মত বেসামাল হয়ে যায় বাংলাদেশ। সে সময় দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে নামেন রিয়াদ ও আফিফ। সেই জুটি ভেঙ্গে বাংলাদেশকে পরাজয়ের দিকে একধাপ এগিয়ে দিলেন রাশিদ খান।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং মেলাতে না পেরে তামিমের হাতে ধরা দেন আফগান এই ব্যাটসম্যান। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৭ রানের ইনিংস।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখেশুনে ব্যাট চালাতে থাকেন ইবরাহিম জাদরান ও রহমত শাহ। টাইগার শিবিরে ক্যাচ মিসের মহড়া চলার সুযোগে বড় শট খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
কিন্তু শরিফুল ইসলাম এনে দেন ব্রেক থ্রু। ১৯ রানেই থামিয়ে দেন ইবরাহিম জাদরানকে।
আফগান শিবিরে ম্যাচের ২২তম ওভারে খরুচে তাসকিন আহমেদ তুলে নেন নিজের প্রথম উইকেট। উইকেটে থিতু হয়ে বসা রহমত শাহকে ফিরিয়ে চাপে ফেলেন আফগানিস্তানকে।
মন্থরগতিতে ব্যাট করতে থাকা আফগানিস্তান শিবিরে চতুর্থ আঘাত হানেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে ২৮ রানে ফেরান তিনি।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগে মোহাম্মদ নাবি ২০ রান করে ফেরেন তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। সাজঘরে যখন তিনি ফেরেন সে সময় স্কোরবোর্ডে রান ১৬৫।
উইকেট আগলে রেখে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। দৃঢ় হাতে সচল রাখেন দলের রানের চাকা।
শুরুটা ভালো করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশ খরুচে হয়ে উঠতে থাকেন সাকিব আল হাসান। নিজের প্রথম উইকেটের দেখা তিনি পান ম্যাচের ৪৫তম ওভারে এসে।
ব্যক্তিগত নবম ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ১৭ রানেই থামিয়ে দেন গুলবাদিন নাঈবকে। দুই বল বাদেই রাশিদ খানকে পরিণত করেন নিজের দ্বিতীয় শিকারে।
অন্যপ্রান্তে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নাজিবুল্লাহ। ম্যাচের ৪৯তম ওভারে তাকে ৬৭ রানে থামিয়ে দেন শরিফুল।
শেষ পর্যন্ত সব উইকেট হারিয়ে ২১৫ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম। একটি উইকেট ঝুলিতে পোরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।