বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুনিমের অভিষেকের অপেক্ষায় পুরো পরিবার

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:১২

মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না মুনিমের। স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে ভর্তি হয়ে মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিতে হয়েছে। বিদ্যালয়ে ছুটি শেষে দ্রুত যেতেন খেলার মাঠে। এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন মুনিম শাহরিয়ার।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য টাইগার স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন মুনিম শাহরিয়ার। বিপিএলে ঝড়ো ব্যাটিং করে সারাদেশে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন। জাতীয় দল পর্যন্ত এ যাত্রায় নানা চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে।

এগিয়ে যাওয়ার পেছনে অনবদ্য সাহস জুগিয়েছেন তার বাবা এএইচএম নুরুজ্জামান। জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করলেন মুনিম।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ঠিক উল্টো দিকে নয়াপাড়া এলাকায় জন্ম মুনিমের।

বাবা চাকরি করতেন বিমা কোম্পানিতে, বর্তমানে করছেন ব্যবসা। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে ক্রিকেট খেলা সহজ ছিল না মুনিমের। স্থানীয় ক্রিকেট ক্লাবে ভর্তি হয়ে মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিতে হয়েছে। বিদ্যালয়ে ছুটি শেষে দ্রুত যেতেন খেলার মাঠে। এভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন মুনিম শাহরিয়ার।

জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক দলে মুনিম শাহরিয়ার। ছবি: সংগৃহীত

নিউজবাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তার বাবা এএইচএম নুরুজ্জামান বলেন, ‘খুব ছোটবেলায় ওকে ব্যাট-বল এনে দেওয়া হয়। ঘরের বারান্দায় বল নিয়ে একা ক্রিকেট খেলত। কিছুটা বড় হয়েই পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে খেলত।’

মুনিমের ক্রিকেটে হাতেখড়ি স্থানীয় একটি ক্লাবে। বাবাকে না জানিয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন মুনিম।

তার বাবা বলেন, ‘বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর ছুটে যেতো ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে। সেখানে আমাকে না জানিয়ে একটি ক্লাবে ভর্তি হয়েছিল। ক্লাবের খরচ জোগাতে তার মায়ের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত টাকা নিয়েছে। এতে ওর মা মাঝেমধ্যে রাগ করত। তাতেও ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ কমেনি।’

পরে যখন নুরুজ্জামান জানতে পারেন ছেলের ক্রিকেট ক্লাবের ভর্তি হবার খবর, তখন সেখানকার কোচই মুনিমের প্রতিভার কথা জানান তাকে।

মুনিমের বাবা বলেন ,‘টাকা নেওয়ার ঘটনাটি একদিন জানতে পারি। যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম সে বলে একটি ক্লাবে ভর্তি হয়েছে। পরে সে ক্লাবে খোঁজ নিতে যাই৷ তখন কোর্চ অলক দা আমাকে বলেন যে, ছেলে ভালো ক্রিকেট খেলে। সবধরনের সাপোর্ট পেলে হয়ত একদিন জাতীয় দলে জায়গা করে নিবে।

‘সেই থেকে মুনিমকে সাহস জুগিয়েছি। বলেছি, জাতীয় দলে জায়গা পেতেই হবে। সেও নিয়মিত চর্চা আর সাহস নিয়ে খেলতে থাকে।’

মুনিমের এমন সাফল্যে আনন্দে ভাসছে গোটা পরিবার। সবাই টিভিতে খেলা দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

তার ছোট বোন জাইমা জামান পৌষী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি যখন খুব ছোট, তখন দেখেছি ভাই পাড়া-মহল্লাতে ক্রিকেট খেলে। আমিও তার খেলা দেখে মুগ্ধ হতাম। কারণ সে ব্যাট হাতে নিলেই সমানে চার-ছক্কা হতো। ভাই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় আমি মহাখুশি। টিভিতে খেলা দেখার অপেক্ষায় আছি।’

নিজ এলাকা ময়মনসিংহে মুনিম শাহরিয়ার। ছবি: নিউজবাংলা

ছোট চাচাতো বোন পার্শা আক্তার বলেন, ‘সবাই একসঙ্গে খেলা দেখব। আমি জানি ভাইয়া ভাল করবে। চার আর ছক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে হৈ-হুল্লোড় করে হাততালি দেব।’

একইরকম প্রত্যাশা মুনিমের চাচা সারোয়ার জাহান মুকুলেরও। আফগানিস্তান সিরিজে একাদশে সুযোগ পেলে সে ভালো খেলা উপহার দেবে এমন অপেক্ষাতে আছেন তিনি।

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজ। ৩ ও ৫ মার্চ হবে সিরিজের দুই টি-টোয়েন্টি।

এ বিভাগের আরো খবর