বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিসিবি আমার কোচিংয়ের পদ্ধতি বুঝতে পারেনি: রোডস

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:১০

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস তার ওপর ভরসা রাখতে পারলেও বিসিবি তার ওপর ভরসা করতে পারেনি মনে করেন রোডস। তার কোচিং পদ্ধতি বুঝে উঠতে পারেননি বোর্ডের কর্তারা এমনটা মন্তব্য তার।

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ে চাকরি হারাতে হয় বাংলাদেশের হেড কোচ স্টিভ রোডসকে। ইংলিশ এ কোচ প্রায় ৩ বছর পর বাংলাদেশে এসেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হয়ে। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই দলকে শিরোপা এনে দিয়েছেন এ ট্যাকটিশিয়ান।কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস তার ওপর ভরসা রাখতে পারলেও বিসিবি তার ওপর ভরসা করতে পারেনি মনে করেন রোডস। তার কোচিং পদ্ধতি বুঝে উঠতে পারেননি বোর্ডের কর্তারা এমনটা মন্তব্য তার।

ভারতীয় এক ক্রিকেট সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রোডস বলেন, ‘আমার মনে হয় অতীতে তারা (বিসিবি) অনেক ধরনের কোচের সঙ্গেই কাজ করেছে। আমার পদ্ধতিটা তারা ধরতে পারেনি। তেমনটা হলে আমার জন্য ভালো হতো। তারা যেভাবে চেয়েছিল সেভাবে আমি কোচিং করাতে চাইনি।’

রোডসের দর্শন ছিল মাঠের সিদ্ধান্ত খেলোয়াড়দের নিতে দেয়া। রোডসের কথায় স্পষ্ট বিসিবি সেটা মেনে নিতে পারেনি।

রোডস যোগ করেন, ‘খেলোয়াড়দের ক্ষমতা দিতে হবে। বাংলাদেশের হয়ে তারা ব্যাটিং-বোলিং করছেন মাঠে। চাপের মুখে তাদের চিন্তাভাবনা পরিষ্কার থাকতে হবে ও বুঝতে হবে দলের জন্য কোনটা ভালো বা মন্দ। কোচ বা অধিনায়কের কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। কাউকে দায়িত্ব দিলে তার সিদ্ধান্ত নিতে জানতে হবে।’

সরাসরি বিসিবির সমালোচনা না করলেও রোডস জানান তাদের কাজের কয়েকটি পদ্ধতি তার পছন্দ হয়নি। মাঠের বাইরে থেকে ভেতরে কী ঘটছে সেটা বোঝা যায় না অভিমত তার।

রোডস বলেন, “বিসিবি প্রেসিডেন্টস বক্স থেকে দেখলে কিছুই বোঝা যায় না কী হচ্ছে। শুধু এটুকুই বলা সম্ভব যে, ‘সে ভালো করেনি। তাকে বাদ দিয়ে দাও’। তরুণ ও মাঝারি সারির খেলোয়াড়রা এই চাপটা অনুভব করেন। তারা ভাবতে থাকেন যে ‘আমি এখন কী করব? আমাকে কি বাদ দিয়ে দেবে?’ মাথায় এ চিন্তা থাকলে কীভাবে আপনি ভালো খেলবেন?”

সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক সৈকতের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়ে আলোচনায় স্টিভ রোডস। ছবি: এএফপি

বিসিবির নির্বাচন পদ্ধতিরও সমালোচনা করেন তিনি। সভাপতি দল গঠনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তিনি (পাপন) কথা শোনেন। অনেক সময় তিনি বলেছেন, ‘আপনার এটা দরকার থাকলেও সেটাই করুন’। তবে অনেক সময়ই তিনি তার আশপাশের লোকজনের কথা শোনেন যারা তাকে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বলে।

“ওইসব ব্যক্তির ক্রিকেটীয় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন না করে উপায় নেই। এই প্রক্রিয়াটা আসলে ঠিক না।”

কোচিং নিয়ে ভবিষ্যতে কী করতে পারে বাংলাদেশ তার একটা দাওয়াইও বাতলে দিয়েছেন রোডস। ক্রমাগত কোচ বদলানোটা খেলোয়াড়দের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, এমনটা মনে করেন তিনি।

রোডস যোগ করেন, ‘আন্তর্জাতিক কোচই যে সব সময় ভবিষ্যৎ সমাধান সেটা আমি মনে করি না। বেচারা খেলোয়াড়রা একজন কোচের পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন। তারপর তিনি চলে যান ও আরেকজন আসেন। তাদের আবার নতুন কোচের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। তিনিও চলে যান।

‘অনেক সময় উপায় না দেখে তারা পুরোনো দিনের স্থানীয় কোচের কাছে ফেরত যান। যিনি তাদের জন্য সব সময় আছেন ও তাদের বিশ্বস্ত। আন্তর্জাতিক কোচ এনে বারবার তাদের বদল করতে থাকলে প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা থাকে না। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো না।’

বাংলাদেশের ভবিষ্যত কোচের জন্যও টোটকা দিয়েছেন রোডস। বোর্ড ও কোচকে একে অপরের বাধা না হয়ে পরিপূরক হওয়ার পরামর্শ তার।

তিনি বলেন, ‘নিজের বেতনের স্বার্থকতা প্রমাণে বাড়তি কোচিংয়ের দরকার নেই। এটা ভাবার দরকার নেই যে, বোর্ডের কর্তারা যেহেতু দেখছেন তাই আমাকে শেখাতে হবে, শেখাতেই হবে। এভাবে করে খেলোয়াড়দের নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু হবে না। বোর্ডের ক্ষেত্রেও এক।

‘অতিরিক্ত নির্দেশনা দেয়ার দরকার নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে, একটু সহজ হোন। সবকিছুতে জড়িয়ে পড়ার দরকার নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর