প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব সাইফ এসসি ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রেফারিকে লাথি দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পায়নি বাংলাদেশ ফুডবল ফেডারেশনের (বাফুফ) ডিসিপ্লিন কমিটি। বিষয়টি নিয়ে ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশনে পাঠাচ্ছে ফেডারেশন।
এ ঘটনার জেরে বরখাস্ত করা হয়েছে ম্যাচ রেফারি বিটুরাজকে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ম্যাচে বাঁশি বাজানো থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছে।
ডিসিপ্লিন কমিটির বৈঠক শেষে বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানায় বাফুফে। এ সময় প্রিমিয়ার লিগের শেখ রাসেল ও সাইফের মধ্যকার ম্যাচের বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির রেফারির সঙ্গে যে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেছেন সম্মিলিতভাবে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা ও সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে রেফারিকে অফেন্সিভ ভাষায় কথা বলায় সাইফের ইভেন্ট ম্যানেজার সাইফ মাহবুবকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
লিগের এই ম্যাচে পেনাল্টি দেয়া নিয়ে রেফারির সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জরিয়ে পড়েন সাইফের খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শেষেও রেফারিকে ঘিরে ধরে সাইফের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা।
এ ঘটনার পর সাইফসহ জামাল ভূইয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ রিপোর্টে রেফারিকে লাথি মারার বিষয়টি ডিসিপ্লিন কমিটিতে জমা দেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শোকেজের জবাব দেন জামাল। জবাব দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষও। বুধবার এসব বিষয় ওঠে ডিসিপ্লিন কমিটির বৈঠকে।
জামালের লাথির কোনও প্রমাণ পায়নি কমিটি উল্লেখ করেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘জামাল ভূঁইয়া রেফারিকে লাথি দেয়ার বিষয়টি ডিসিপ্লিন কমিটিতে প্রমাণ হয়নি।’
তবে এখানে ঘটনা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। জামালের বিষয়টি নিয়ে ফরেনসিক তদন্ত করা হবে বলে জানায় বাফুফে।
সোহাগ বলেন, ‘বাফুফের পক্ষ থেকে ফরেনসিক তদন্ত করা হবে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুনরায় ডিসিপ্লিন কমিটিতে পাঠাব। কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে বিবেচিত হবে।’
এ ঘটনার জের ধরে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ রাসেলের মধ্যকার ম্যাচে ভুল পেনাল্টি দেওয়ার কারণে রেফারি বিটুরাজকে সাসপেন্ড করেছে ফেডারেশন।