ভেন্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের কাছে বসুন্ধরা কিংসের চিঠি, দেশের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর আক্রোশের পর পরই গা-ঝাড়া দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তারই ধারাবাহিকতায় চলমান প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যু বাড়াতে বাধ্য হয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
দুই ভেন্যুতে চলতে থাকা প্রিমিয়ার লিগের ১৩তম আসর এখন গড়াবে ছয়টি ভেন্যুতে। তীব্র সমালোচনার মধ্যে টঙ্গী ভেন্যুকে বাদ দিয়েছে ফেডারেশন।
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির জরুরি বৈঠকে শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় ক্লাব কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভেন্যুর সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছয়টি ভেন্যুতে ফিরছে লিগের খেলা। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে খেলা মাঠে গড়াবে। নতুন ফিকশ্চার তৈরি করা হবে নতুন সিদ্ধান্তকে বিবেচনা করে। কার্যকর করা হবে লিগের চতুর্থ রাউন্ড থেকে।
যে ছয়টি ভেন্যুতে লিগ গড়াচ্ছে- গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম, রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম, কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ও ঢাকার বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স।
হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে গোপালগঞ্জ ভেন্যুটি পেল মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তর বারিধারা, রাজশাহী পেল পুলিশ এফসি ও স্বাধীনতা কেএস, সিলেট পেল ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জ এমএফসি, মুন্সিগঞ্জ পেল সাইফ এসসি ও শেখ জামাল, কুমিল্লা পেল মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনী এবং বসুন্ধরা কমপ্লেক্স এরেনা পেল বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল।
ভেন্যু বাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘ক্লাবগুলো মিলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটিই চূড়ান্ত থাকছে। চতুর্থ রাউন্ড থেকে সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। অপশনাল হিসেবে টঙ্গী ভেন্যু থাকায় তা বাদ দেয়া হয়েছে।’
প্রথম দিকে সাত ভেন্যুতে লিগের খেলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফেডারেশন। পরে করোনা আর সমন্বয়হীনতায় ভেন্যুর সংখ্যা কমে চারে নামে।
আরও কিছু জটিলতায় পর আরেকটি ভেন্যু কমে আসে। শেষ মুহূর্তে বসুন্ধরা কিংসের এরেনা ভেন্যু বাতিল করে ঢাকার বাইরের দুটি ভেন্যুকে চূড়ান্ত করে ফেডারেশন।