পয়েন্ট টেবিলের গ্যাঁড়াকলে আটকে শেষ চারের ভাগ্য ঝুলে রইল খুলনা টাইগার্সের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হলো তাদের। যার ফলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল কুমিল্লা। আর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে শেষ চারের লড়াইয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল খুলনা।
এই ম্যাচ হারায় শনিবারের একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে খুলনার ডু-অর-ডাই ম্যাচ। সেই ম্যাচে জয়ের দেখা না পেলে বিপিএল মিশন শেষ হয়ে যাবে মুশফিকুর রহিমের দলের।
কুমিল্লার দেয়া ১৮৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস।
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়ের মারকুটে ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটি থেকে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিচ্ছিল কুমিল্লা।
দলীয় ৪৩ রানে জয় সাজঘরে ফিরলে ভাঙে কুমিল্লার ওপেনিং জুটি। ১১ করেই সাজঘরে ফিরতে হয় জয়কে। কিন্তু উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে ১৭ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে থিসারা পেরেরার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন।
এরপর ফাফ ডু প্লেসির ৩৬ বলে ৩৮ ও শেষ দিকে মঈন আলির ৩৫ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে খুলনার সামনে ৬ উইকেটের খরচায় ১৮৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় কুমিল্লা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানে খুলনা হারায় তাদের দুই ওপেনারকে। রানের খাতা খোলার আগেই ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে মুস্তাফিজ ফেরান রনি তালুকদারকে। পরের বলেই ফিজ নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন আন্ড্রে ফ্লেচারকে।
এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার ও ইয়াসির আলি। কিন্তু দলীয় ৪৪ রানে ১৮ রান করা ইয়াসির সাজঘরে ফিরলে ফের আরেকবার ধস নামে খুলনা শিবিরে।
একে একে দুই অঙ্কের রান ছোঁয়ার আগে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক, সিকান্দার রাজা, রুয়েল মিয়া, খালিদ আহমেদ। আর তাতে পরাজয় সুনিশ্চিত হয়ে যায় খুলনার।
শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ২৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস কমিয়েছে কেবল পরাজয়ের ব্যবধান। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ১২৩ রানেই থেমে যায় খুলনার ইনিংস।
কুমিল্লার হয়ে তিনটি উইকেট নেন আবু হায়দার রনি। দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, মঈন আলি ও নাহিদুল ইসলাম। আর একটি উইকেট যায় তানভীর ইসলামের ঝুলিতে।