ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটিতেও জয়ের দেখা পেল না সিলেট সানরাইজার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে মাঠ ছাড়তে হলো স্বাগতিকদের। এই জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল কুমিল্লা।
সিলেটের দেয়া ১৭০ রানের টার্গেট কুমিল্লা পূরণ করেছে অনেকটাই সহজে। ১ বল ও চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে কুমিল্লা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার দলপতি ইমরুল কায়েস। ব্যাট হাতে নেমে কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ভর করে দুর্দান্ত সূচনা করে সিলেট।
দুই ওপেনারের কল্যাণে উদ্বোধনী জুটিতেই স্কোড়বোর্ডে যোগ হয় ১০৫ রান। ৩৩ বলে ৪৬ করে এনামুল ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি। ১৬ করে ফেরেন লেন্ডল সিমন্স। পাশাপাশি রান দুই অঙ্কে নেয়ার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক রবি বোপারাকে।
তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন কলিন ইনগ্রাম। তার ৬৩ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেট খরচায় ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নেন তিনটি উইকেট। আর একটি করে উইকেট যায় সুনীল নারিন ও তানভীর ইসলামের ঝুলিতে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২২ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটন দাস ও ফাফ ডু প্লেসিকে। দ্রুত উইকেট পতনের পর ২২ গজে এসে ঝড় তুলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মঈন আলি। সঙ্গে নেন মাহমুদুল হাসান জয়কে।
মঈনের ৩৫ বলে ৪৬ আর জয়ের ৫০ বলে ৬৫ রানের রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখে কুমিল্লা। শেষদিকে সুনীল নারিনের ১২ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে এক বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা।
এই জয়ের পর ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থান পেল কুমিল্লা। ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল।
৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে মিনিস্টার ঢাকা। আর ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে খুলনা।