করোনাভাইরাস মহামারির রেশ পৃথিবীতে কতদিন থাকবে তা বলা মুশকিল, তবে এর প্রভাব প্রতিটা খাতে বহুদিন ধরে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে ক্রীড়াঙ্গনে করোনার কালো থাবার ছাপ রেখে গেছে। নির্দিষ্ট করে বললে ফুটবলে।
ক্ষতির পরিমাণটা কত হতে পারে? শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পরিমাণ দেখানোর সুযোগ নেই। আর্থিক দিকের হিসেবে শুধু ইউরোপের ফুটবলে ক্ষতির পরিমাণ সাত বিলিয়ন ইউরো। টাকার হিসেবে ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
ইউয়েফার ফিনানশিয়াল সাসটেইনেবিলিটি এবং রিসার্চের পরিচালক আন্দ্রে ট্রাভার্সোর রিপোর্টে এমনটি উঠে এসেছে। আরও ভালোভাবে কীভাবে ফুটবলের ম্যানেজমেন্ট করা যায় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
‘কোভিড সংকট ইউরোপের ফুটবল কতটা কনক্রিট তা প্রকাশ করেছে।’
এদিকে ইউয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার কেফেরিন আশাবাদী ভবিষ্যৎ নিয়ে।
তার মতে, ‘ফুটবল ছিল অনেকের জন্য একটি সত্যিকারের লাইফলাইন। আমি সামনের বছরের জন্য কোনো সাহসী ভবিষ্যদ্বাণী করব না। তবে এটি বলতে পারি, মহামারি থাকুক বা চলে যাক, ইউরোপের ফুটবল ২০২২ সালে শক্তিশালী, স্থিতিশীল এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’ এই সময়ের মধ্যে অনেক ক্লাবই ফতুর হয়ে গেছে। ঋণগ্রস্ত হয়েছে শত শত ক্লাব। মালিকানা বদলেছে। খেলোয়াড়রা তাদের বেতন কমিয়েছে। দলের স্পন্সররা ভেগে গেছে।
একই সঙ্গে খেলা চালিয়ে রাখতে একটা বড় সময় পর্যন্ত গ্যালারিও ফাঁকা রাখতে হয়েছে ক্লাবগুলোকে। দর্শকশূন্য গ্যালারি লোকসানের পরিমাণ দেখেছে সবচেয়ে বেশি।