বিপিএল উত্তপ্ত হয়ে ছিল রোববার। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মেহেদী মিরাজকে কেন্দ্র করে বন্দর নগরীতে শুরু হয় নাটক।
শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচের ঘণ্টাখানেক আগে মিরাজকে সরিয়ে দেয়া হয় অধিনায়কের পদ থেকে।
সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচে তার পরিবর্তে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেন সহ-অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
সে সময় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরাজের ওপর চাপ কমাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে হুট করে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ায় ক্ষুব্ধ হন মিরাজ। সে কারণে চট্টগ্রাম পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে ঢাকা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
টিকিটও কেটে ফেলেন বিকেল ৫টার ফ্লাইটের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি কেউ। বিকেলে দলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে পাঠানো ভিডিও বার্তায় কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।
তবে সেখানে ‘মিরাজ অধ্যায়’ নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি।
চ্যালেঞ্জার্সের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করা শুরু করলে অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে গ্রুপের চ্যাট অপশন বন্ধ করে দেয়া হয়। মোট কথা চ্যালেঞ্জার্স বিষয়টি নিয়ে কোনো কিছুই প্রকাশ করতে রাজি ছিল না।
তবে নিউজবাংলাকে বিষয়টি খোলাসা করেছেন মেহেদী মিরাজ নিজে। জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার জানান, ক্ষোভ প্রকাশের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকপক্ষ প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেছেন তার সঙ্গে।
মিরাজ বলেন, ‘ওনার (সিইও) রুমে নিয়ে দুই ঘণ্টার মতো কথা বলেছেন। বিষয়টি ঠিক হয়নি বলার পর তারা বলেছেন এটা এক ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি। তারা বুঝতে পেরেছেন যে তাদের আমার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কোচ চলে যাওয়ার পর তারা বুঝে উঠতে পারেননি কী করা উচিত ছিল।
‘তাদের সঙ্গে আমি থেকে যাচ্ছি। দলের সঙ্গে থেকে যাচ্ছি। তবে আমাকে অধিনায়কত্ব দিলেও আর করব না।’
তবে সোমবার কুমিল্লা ভিকটোরিয়ানসের বিপক্ষে মাঠে দেখা যেতে পারে মিরাজকে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি নিজেই।