করোনা মহামারির মধ্যে দর্শক ও উত্তেজনাশূন্য বিপিএলের অষ্টম আসরে হঠাৎই যেন উত্তেজনা ফেরালেন মেহেদী মিরাজ। জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার অবশ্য মাঠের খেলায় নয়, মাঠের বাইরে দল ছাড়া নিয়ে জন্ম দিয়েছেন নাটকের।
শনিবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচের ঘণ্টা তিনেক আগে মিরাজকে জানানো হয় এ ম্যাচে চট্টগ্রামের অধিনায়ক থাকছেন না তিনি। ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্তের পর ম্যাচ খেললেও পরদিন দলের ক্যাম্প ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মিরাজ।
মিরাজ চলে যাওয়ার আগের দিন চট্টগ্রাম বদল আনে ম্যানেজমেন্টেও। হেড কোচ পল নিক্সনকে ছেড়ে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। দলের দায়িত্ব নেন বোলিং কোচ শন টেইট।
দুই দিনের মধ্যে কোচ ও অধিনায়কের পরিবর্তন জন্ম দিচ্ছে অনেক প্রশ্নের। এর আগে এমন নজির দেখা গেছে ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে।
ওই বছর টুর্নামেন্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা দাবি করেন ম্যাচ পাতাতে তাকে প্রস্তাব দেয়া হয়।
পরের বছর বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে নজির মেলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক আশরাফুল। যার কারণে ক্রিকেট থেকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় আশরাফুলকে।
সে ম্যাচের কিছুক্ষণ আগে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দায়িত্বভার দেয়া হয় আশরাফুলকে। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঢাকা ৮৮ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল।
সেই ঘটনার ৯ বছর পর প্রায় একই ঘটনা দেখা যাচ্ছে বিপিএলে। এবারে সন্দেহের তীর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দিকে।
সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে শনিবার ম্যাচের আগে মিরাজের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয় অধিনায়কত্ব। তার পরিবর্তে অধিনায়কত্ব পান মোহাম্মদ নাঈমের ওপর।
নিউজবাংলার কাছে সরাসরি না হলেও অভিযোগের ইঙ্গিত এসেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চ্যালেঞ্জার্সের এক সদস্যের কাছ থেকে। তবে বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন চ্যালেঞ্জার্সের মিডিয়া ম্যানেজার সাকলাইন রজার।নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘না না। এমন কিছু হওয়ার প্রশ্নেই আসে না। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিনায়ক নাঈমকে করা হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের বিষয় এটা। একটা-দুইটা ম্যাচ পর পরিকল্পনা পরিবর্তন হয় না? প্রথমে মনে হয়েছে অধিনায়ক হিসেবে একজন ভালো। কিছুদিন পর মনে হয়েছে, না ওর চেয়ে অন্য কাউকে দিলে সে ভালো করবে।’