বিপিএলের চলতি আসর শুরুর এক দিন আগে ঘটা করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। কিন্তু টুর্নামেন্ট চলাকালীন চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচের ঘণ্টাখানেক আগে মিরাজকে সরিয়ে দেয়া হয় অধিনায়কের পদ থেকে।
ফলে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচে তার পরিবর্তে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ নাঈম।
সে সময় দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরাজের ওপর চাপ কমাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে হুট করে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ায় ক্ষুব্ধ মিরাজ। সে কারণে চট্টগ্রাম পর্বের দুই ম্যাচ বাকি থাকতে ঢাকা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
চ্যালেঞ্জার্সের এক সদস্য নিউজবাংলাকে রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সদস্য জানান, মিরাজকে আটকাতে এরই মধ্যে তার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে ম্যানেজমেন্ট। রোববার বিকেলে ঢাকার ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত করেছেন মিরাজ।
ওই সদস্য আরও বলেন, ‘মিরাজ কারও কথা শুনতে চাচ্ছে না। বিষয়টা বেশ অসম্মানজনক। দল চেষ্টা করছে আলোচনার। দেখা যাক বিষয়টা কী দাঁড়ায়।’
পরে ম্যানেজমেন্ট আলোচনা করে মিরাজকে চট্টগ্রামে থাকতে অনুরোধ করে। মিরাজ তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে থেকে গেছেন বন্দর নগরীতে।
চলতি আসরের পাঁচ ম্যাচে মিরাজ নিয়েছেন ৯ উইকেট। ব্যাট হাতে করেছেন মোট ৮৩ রান। সেই সঙ্গে দলকে এনে দিয়েছেন তিন জয়। দল রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ মিরাজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই দল ছেড়ে যাচ্ছি। দলকে ই-মেইল করেছি। ই-মেইল করেছি বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে। ই-মেইলে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেছি। চট্টগ্রামের ম্যানেজমেন্ট জাতীয় দলের ক্রিকেটারের মানহানি করেছে। এ রকমটা তারা আগেও করেছে। এমন তো নয় যে আমি বাজে খেলেছি বা দল খারাপ করেছে। আমিও পারফরর্ম করেছি, দলও এই ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে ছিল। বলা নেই, কওয়া নেই- এভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। আমি খেলবই না।’