আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্তে অটল জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। বোর্ডের সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ করে টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্তে স্থির এ বাঁহাতি।
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে ক্রিকেটের শর্টার ভার্সনে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি দেশসেরা এই ওপেনারকে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর বোর্ড প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানান তামিম। তরুণদের সুযোগ করে দিতেই তার এমন সিদ্ধান্ত সে কথাও বলেন এ অভিজ্ঞ তারকা।
তামিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেন জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। রোববারের সে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাই ফেরার সম্ভাবনা নেই তামিমের।
তামিম-সুজনের আলোচনায় উপস্থিত থাকা বোর্ডের এক পরিচালক বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পরিচালক বলেন, ‘গতকাল তামিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরার ইস্যুতে আলোচনায় বসেছিলেন সুজন। কিন্তু আলোচনায় লাভ হয় নি কোনো। তামিম তার সিদ্ধান্তে অটল।’
গত শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সংবাদমাধ্যমকে জানান তামিম টি-টোয়েন্টি না খেলার বিষয়ে অটল। তবে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান তিনি।
২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় খেলা ম্যাচটিই তামিমের জন্য শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়ে রইল।
অন্য ফরম্যাটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের হয়ে অনন্য রেকর্ডধারী তামিম। ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ হাজার ৭৫৮ রান করেছেন তিনি।
এর মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে ৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান তার, যা টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সাতটি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও আছে তার। ২০১৬ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন তামিম।