চলতি বছরের পুরোটা সময় জুড়ে ব্যস্ত থাকতে হবে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। ওয়ানডে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ৫টি টেস্ট সিরিজ খেলতে হবে বাংলাদেশের। এর ভেতর তিনটি সিরিজ দেশের বাহিরে।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে বছর শুরু করে বাংলাদেশ। শুরুটা দুর্দান্ত হয় মুমিনুল বাহিনীর। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো পায় কিউই বধের স্বাদ।
সিরিজটি ড্র করে টাইগাররা। তারপরও এই ড্র বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন ছিল। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বছরের বাকি সময়টা পার করতে চায় বাংলাদেশ।
আর সে লক্ষ্যে এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করেছেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। চলতি বিপিএলে ফরচুন বরিশালের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এ অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থাতেও বাংলাদেশের টেস্ট নিয়ে পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছেন সুজন। রোববার সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি।
সুজন বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচতো বড় একটা জায়গা। সামনে শ্রীলঙ্কা, সাউথ আফ্রিকা অনেকগুলো ট্যুর আছে। মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। চিন্তা করছি যে কীভাবে আমরা সাউথ আফ্রিকায় ভালো ক্রিকেট খেলব। শ্রীলঙ্কার সাথে আমরা যেহেতু ঘরে খেলব সেটাও মাথায় আছে। সবশেষ হোম সিরিজে পাকিস্তানের সাথে সেটাও ভালো খেলতে পারিনি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের সে সামর্থ্য আছে ভালো ক্রিকেট খেলার। বিপিএলের কারণে এখানে ব্যস্ত আছি। তারপরও মাথায় সেটা আছে। বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি যে বিপিএল শেষ হলে যেহেতু আফগানিস্তান আসবে। টেস্ট খেলোয়াড়দের সঙ্গে কীভাবে অনুশীলন করব, কোথায় ক্যাম্প হবে এগুলো সব মাথায় নিচ্ছি।’
বিপিএলের পরপরই বাংলাদেশ সফরে আসবে আফগানিস্তান। এরপর মার্চের শুরুতে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে সাউথ আফ্রিকা যাবে। জুনে মুমিনুলরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে।
জুলাইয়ে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে জিম্বাবুয়ে যাবে। সবশেষ আয়ারল্যান্ড সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ আসবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যেখানে থাকবে একটি টেস্ট।