বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর দেখা যাবে না তামিম ইকবালকে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আর না খেলার সিদ্ধান্ত বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা এ ওপেনার।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। বিশ্বকাপের আগে তামিম ঘোষণা দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপে না খেলার। এবার একই সিদ্ধান্ত নিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রেও।
নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ও আমাকে একটা কথা বলেছে, আপনি আমাকে জোর করবেন না। আপনি বললে তো আসতেই হবে। আমি আসলেই এই ফরম্যাটে খেলতে চাই না। এটা বলার পর আমার মনে হয়েছে ওকে আর কিছু বলা উচিত না। কেউ যদি খেলতেই না চায়, তাহলে কাউকে জোর করে একটা ফরম্যাটে খেলানো ঠিক না।’
বিসিবি বস জানিয়েছেন, তিনি তামিমকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথাও বলেছিলেন। তবে সিনিয়র এ ক্রিকেটার তরুণদের জায়গা করে দিতেই টি-টোয়েন্টি ছাড়তে চান।
নাজমুল আরও বলেন, ‘ওর সঙ্গে শেষ যখন কথা হয়েছে আমি বলেছিলাম তুমি টি-টোয়েন্টিতে আবার ফেরত আসো। এটা ছাড় বা কেন। তুমি আমাদের বেস্ট ওপেনার। অবশ্যই তোমার থাকা উচিত।’
গত বছর চোটের কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের মাঝপথে ফিরে আসার পর তামিম অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও খেলেননি।
এরপর বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তামিম। লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট না খেলার কারণে ও নতুনদের জায়গা করে দিতে এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান এই টাইগার ওপেনার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তামিমের ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। অনেকে শেরেবাংলার সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জমায়েতও হন তাকে ফেরানোর দাবিতে। বিসিবি প্রধান সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বকাপের পর জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে তামিমের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য বলবেন।
কিন্তু সভাপতির শনিবারের বক্তব্যে স্পষ্ট যে আলোচনায় কাজ হয়নি। তামিম নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেননি।
ফলে ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় খেলা ম্যাচটিই তার জন্য শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়ে রইল।
অন্য ফরম্যাটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের হয়ে অনন্য রেকর্ডধারী তামিম। ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ হাজার ৭৫৮ রান করেছেন তিনি।এর মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে ৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান তার, যা টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সাতটি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও আছে তার। ২০১৬ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।