বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরে কাগজ-কলমের হিসাবে বেশ শক্তিশালী দল গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তত্ত্বাবধানে থাকা (পরে মিনিস্টার গ্রুপ দলের স্বত্ব কিনে নেয়) ঢাকা।
কিন্তু শক্তিশালী দল গড়লেও তারুণ্যনির্ভর দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ের আশা দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
দুর্দান্ত শুরুর পরও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সাগরিকার দলটির কাছে তারা হেরেছে ৩০ রানে। চট্টগ্রামের দেয়া ১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩১ রানেই থেমে যেতে হয় ঢাকাকে।
শেরেবাংলায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদের জুটিতে ভর করে শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা করে ঢাকা।
তবে ব্যক্তিগত ৯ রানে শেহজাদ মাঠ ছাড়লে ৪২ রানে ভাঙে সেই জুটি। কিন্তু উইকেট কামড়ে ধরে বসে জহুরুলকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি সচল রাখেন তামিম। ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেয়ার পাশাপাশি ছাড়িয়ে যান বিপিএলের সর্বাধিক রানের মালিক মুশফিকুর রহিমকে।
কিন্তু ৫২ করেই তামিম থামেন শরিফুলের শিকার হয়ে। এর পরই ঢাকা শিবিরে নামে ব্যাটিং-ধস। সেই ধসে একে একে কাটা পড়েন জহুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন আন্দ্রে রাসেলও। রাসেলের বিদায়ের পর এক প্রকার নিভে যায় ঢাকার জয়ের আশা। শেষ পর্যন্ত নাসুম ও শরিফুলের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি ঢাকার কোনো ব্যাটারেরই। ফলে ১৩১ রানেই থেমে যায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর ইনিংসের চাকা।
চট্টগ্রামের হয়ে চার উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। তিনটি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। আর একটি করে উইকেট যায় মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও নাঈম ইসলামের ঝুলিতে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম ৬ রানেই হারায় ওপেনার কেনার লুইসকে। ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়িয়ে দেন উইল জ্যাকস। ১২ বলে ১২ করে আফিফ বিদায় নেয়ার পর স্কোরশিটে ২ রান যোগ করতে সাজঘরের পথ ধরেন ২৪ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা উইল জ্যাক।
পরপর দুই সেট ব্যাটারের বিদায়ে খেই হারায়নি সাগরিকার দলটি। বরং প্রবল বিক্রমে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ভর করে।
দলীয় ১০০ রানে ২৫ করা মেহেদী বিদায় নিলেও উইকেট আগলে থাকেন সাব্বির। তাকেও ফিরতে হয় ২৮ রান করে। রুবেলের দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে খেই হারানোর সঙ্গে সঙ্গে স্টাম্পটাও হারান তিনি।
শেষ দিকে বেনি হাওয়েলের ১৯ বলে ৩৭ রানের টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ১৬১ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।
ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি, ইসুরু উদানা, শুভাগত হোম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।