বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন কোচের চোখে ‘বিউটিফুল চ্যালেঞ্জ’

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:০৪

নতুন কোচ আসলেই নতুন প্রত্যাশা যোগ হয়। এবার প্রত্যাশা দলকে অতীত ব্যর্থতা থেকে তুলে ওপরে তোলার। ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাবরেরা। এর মাঝে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা তিনি পাচ্ছেন আগামী জুনে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে।

শনিবার ঢাকায় পৌঁছানোর পর বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নিলেন হাভিয়ের কাবরেরা। প্রথমবার জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে রোমাঞ্চিত এ স্প্যানিশ কোচ। সামনে দেখছেন, ‘বিউটিফুল চ্যালেঞ্জ’।

কী সেই বিউটিফুল চ্যালেঞ্জ সেটা সংবাদমাধ্যমকে জানালেন জাতীয় দলের ২৩ তম এই বিদেশি কোচ।

হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, ‘কঠিন সুন্দর একটা চ্যালেঞ্জ। আমার ইচ্ছা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা দল গড়া। ভালো পারফরম্যান্সের চেষ্টা করব। যতটা সম্ভব একটা কাঠামো তৈরি করতে চেষ্টা থাকবে। স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপে আমি জাতীয় দলের ফুটবলারদের খেলা দেখেছি।

‘সাফের খেলাও দেখেছি। এই দলে কয়েকজন প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। আমার মনে হয় আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল গড়তে পারব।’

নতুন কোচ আসলেই নতুন প্রত্যাশা যোগ হয়। এবার প্রত্যাশা দলকে অতীত ব্যর্থতা থেকে তুলে ওপরে তোলার। ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কাবরেরা। এর মাঝে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা তিনি পাচ্ছেন আগামী জুনে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে।

আপাতত ধাপে ধাপে এগোতে চান এ স্প্যানিয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘আপাতত মার্চের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। এরপর না হয় এশিয়া কাপ নিয়ে ভাবব। তবে এতটুকু বলতে চাই, যেখানেই খেলি লড়াই যেন থাকে।

‘সাফ কিংবা ফিফা, যে পর্যায়ের ম্যাচই হোক না কেন, আমরা লড়তে চাই। যদি ভালো একটা দল গড়তে না পারি তাহলে এত পরিশ্রম বৃথা।’

বার্সেলোনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন একাডেমিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নতুন কোচের। তবে ঘাটতি জাতীয় দলে কাজ করার। নতুন দেশের নতুন অভিজ্ঞতাকে কীভাবে নিজের কৌশলে সাজাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার পদক্ষেপ হবে প্রতিযোগিতামূলক। খেলোয়াড়দের উন্নতি করানো যাতে তারা বুঝতে পারে খেলার প্রতি মুহুর্ত কী দাবি করে। এটা অত্যাবশকীয় নয় যে সবসময় বলের দখল রাখতে হবে। বল দখলের মাধ্যমেও তা হতে পারে।

‘অথবা ডিফেন্স লাইনের পিছনে কোনো জায়গা যেটার সুযোগ আমরা নিতে পারি। সরাসরি আক্রমণ করতে পারি অথবা বল ছাড়া হাই প্রেস করে বল সংগ্রহ করতে পারি। আমার মনে হয় না আমাদের একটি নির্দিষ্ট গেইম মডেল এ নেমে আসা উচিত।’

ঢাকায় আসার আগে কিছু অ্যাসাইন্টমেন্ট সেরে রেখেছেন কাবরেরা। সবশেষ ফেডারেশন কাপের খেলা দেখেছেন। গত সাফ ও চার জাতি টুর্নামেন্টও পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি।

এ বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সাফে বাংলাদেশের খেলা দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগেছে। মূল বিষয় হলো অনুশীলন। আর এখানেই পরিকল্পনার বিষয়টি আসে।

‘খেলোয়াড় গড়ে তুলতে পারাটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তরুণ ফুটবলার নিয়ে অনেক দিন কাজ করেছি। একই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এই ফুটবলাররা যেন পেশাদার পর্যায়ে পারফরম্যান্স দেখাতে পারে। সুতরাং আমাদের মূল চেষ্টা থাকবে তাদের পারফরম্যান্স বাড়ানো।’

এ বিভাগের আরো খবর