তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের হাতছানি দেখলেও জয়ের দেখা পায়নি আয়ারল্যান্ড। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আইরিশরা। পেয়েছিল পাঁচ উইকেটের বড় জয়। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে জয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ইতিহাস গড়ল পল স্টারলিংয়ের দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে আইরিশরা জয় পায় দুই উইকেটে। আর তাতেই প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল আয়ারল্যান্ড।
রোববার জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কে আগে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪ ওভারেই অলআউট হয় ২১২ রান করে। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৪.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আইরিশ বোলারদের ওপর আগ্রাসন চালাতে থাকেন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১১ ওভারেই ৭২ রান যোগ করে ফেলেন তারা।
তবে ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে শাই হোপের সাজঘরে ফেরার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং লাইনআপ।
স্কোরশিটে ৪৭ রান যোগ করতেই পতন ঘটে স্বাগতিকদের সাত উইকেটের। সম্ভাবনা জেগেছিল ক্যারিবীয়দের ১৫০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার।
তবে টেইল এন্ডারদের কল্যাণে ২০০ রান পেরোয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জেসন হোল্ডারের ৪৪, রোমারিও শেফার্ড ১৩, আকিল হোসেন ২৩ ও ওডিয়ান স্মিথ খেলেন ২০ রানের ইনিংস। যার সুবাদে ২১২ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন ম্যাকব্রেইন। আর ক্রেইগ ইয়ংয়ের ঝুলিতে যায় ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন কার্টিস ক্যাম্পফার ও জর্জ ডকরেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও পল স্টারলিংয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ট্র্যাকে ফিরে আসে আয়ারল্যান্ড। ৩৮ বলে ৪৪ করে বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনি ও হ্যারি টেক্টর।
সাজঘরে ফেরার আগে ম্যাকব্রিনির ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান, আর টেক্টরের ৫২। মূলত এই দুই ইনিংসে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড।
শেষতক ২ উইকেট ও ৩১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে তরি ভেড়ায় আইরিশরা। এতেই রচিত হয় এক ইতিহাস।