আতলেটিকো বিলবাওকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্য দিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা জিতল স্পেনের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি।
ম্যাচে প্রথমেই দুই গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটি। এরপরও পেরে ওঠেনি বিলবাও।
সৌদি আরবের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল দ্য হোয়াইটরা। একপেশে খেলায় ম্যাচের ১৯তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ সৃষ্টি করেছিল রিয়াল।
ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ডি বক্সের অভিমুখে বাড়ানো বল পেয়ে জোড়াল শট নিয়েছিলেন কারিম বেনজেমা। তবে শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় হতাশ হতে হয় তাদের।
২৭তম মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে সে যাত্রায় দলকে বাঁচান বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
তবে ৩৮তম মিনিটে গিয়ে শেষ রক্ষা হয়ে ওঠেনি বিলবাওয়ের। লুকা মদ্রিচের ডানদিক থেকে এগিয়ে নেয়া বল ডি বক্সে পান রদ্রিগো। সেখান থেকে তিন ডিফেন্ডারকে ভেলকি দিয়ে রদ্রিগো ফিরতি পাস দেন মদ্রিচকে। সেই পাস জোড়ালো উঁচু শটে গোলে পরিণত করেন ক্রোয়েশিয়ান এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে লিড পেয়ে সমান তোপে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দুর্দান্ত রিয়ালের ৫২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় বেনজেমার কল্যাণে।
ডি বক্সে বিলবাও ডিফেন্ডার জেরাই আলভারেসের হ্যান্ডবল হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেখান থেকে সফল স্পট কিকের মাধ্যমে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা।
ম্যাচের ৬৪ মিনিট থেকে আক্রমণের ধার কমে যায় রিয়ালের। সেই সুযোগটাই নেয় বিলবাও। কিন্তু সফলতার মুখ দেখা সম্ভব হয়নি দলটির।
৮৬তম মিনিটে বিলবাওয়ের গার্সিয়ার হেড গোলমুখে রিয়ালের মিলিতাওয়ের হাতে লাগায় লাল কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে ক্ষিপ্রতার সাথে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন রিয়াল গোলরক্ষক কার্তোয়া।
শেষ পর্যন্ত ১০ জনের রিয়ালের সঙ্গেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি বিলবাও। যে কারণে ২-০ ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
এই নিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ১২ বার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বোচ্চ সুপার কাপ জয়ের রেকর্ডটা ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। এ যাবৎ কাতালানরা শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ১৩ বার।