আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের মনোযোগ এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে এসেছে জাতীয় দল। বিদেশি তারকারাও আসা শুরু করেছেন ঢাকায়।
টুর্নামেন্টে দেশি সব সুপারস্টারই খেলছেন। মিনিস্টার ঢাকা দলে একই সঙ্গে আছেন মাশরাফি মোর্ত্তজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার খেলবেন খুলনা টাইগার্সে।
বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান খেলবেন বরিশাল ফরচুনে। বরিশালের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, দেশি-বিদেশি তারকা মিলিয়ে সবগুলো দলই ব্যলান্সড ও শক্তিশালী।
সংবাদমাধ্যমকে রোববার বিকেলে সুজন বলেন, ‘অনেক চিন্তাভাবনা করেই দল করেছি। প্রতিটি দল শক্তিশালী। আমরাও যথেষ্ট শক্তিশালী। মাঠের পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে কতটা ভালো খেলছি ও মোমেন্টাম কতটা ভালো। সেগুলো ঠিক থাকলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল আমরা।’
সর্বকালের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার সাকিব আছেন দলে। তার বিশাল অভিজ্ঞতা পাচ্ছে বরিশাল। সুজন এটিকে দলের জন্য বড় অ্যাডভান্টেজ মনে করেন।
সুজন-সাকিব জুটি এর আগে ঢাকা ডায়নামাইটস ফ্র্যাঞ্চাইজিকে শিরোপা জিতিয়েছে। এবার নতুন দলের হয়ে সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে মুখিয়ে আছেন তারা।
সুজন বলেন, ‘যেই দলে সাকিব আল হাসান আছে, সেই দলে কাজ করা তো সব সময় সহজ। আমি আর সাকিব ঢাকার (ঢাকা ডায়নামাইটস) হয়ে চার বছর কাজ করেছি। তো আমার আর সাকিবের রসায়ন সব সময় ভালো।’
সাকিব ছাড়াও দলে নুরুল হাসান সোহান, তৌহিদ হৃদয় ও তাইজুল ইসলামের মতো বিপিএলের পরীক্ষিতরা। আছেন টি-টোয়েন্টি কিংবদন্তি ক্রিস গেইল। সব মিলিয়ে দল নিয়ে সন্তোষ ঝরল সুজনের কণ্ঠে।
সুজন বলেন, খুব এনার্জেটিক একটি দল পেয়েছি আমি, যারা আমার সঙ্গে কাজ করবে। তাদের সঙ্গে কাজ করা দারুণ রোমাঞ্চকর ব্যাপার। দলটি খুবই ভারসাম্যপূর্ণ একটি দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য ঠিক যেমন হওয়া উচিত।’