অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হচ্ছে না নোভাক জকোভিচের। তাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। দেশটিতে থাকার জন্য তিনি আদালতে যে আপিল করেছেন সেটি খারিজ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্ট।
রোববার দুপুরে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্ট জকোভিচের বিপক্ষে রায় দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রায়ে প্রধান বিচারপতি জেমস অলসপ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ দিচ্ছে যে, সংশোধিত আবেদনটি খরচসহ খারিজ করা হল। পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আগামী ৩ বছর অস্ট্রেলিয়ার ভিসা দেয়া হবে না।’
৩৪ বছর বয়সী নোভাক জকোভিচ টেনিস ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল তিন তারকার একজন এ সার্বিয়ান। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন ৯ বার।
এবারের টুর্নামেন্ট জিতলে রজার ফেডেরার ও রাফায়েল নাদালকে ছাড়িয়ে এককভাবে ২১টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম নিয়ে এককভাবে সেরা বনে জেতেন তিনি। তবে আপাতত অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হচ্ছে না তার। রেকর্ড ভাঙতে জকোভিচকে অপেক্ষায় থাকতে হবে উইম্বলডনের।গত ৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য কোভিড টিকা দেয়া ও সনদ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশগ্রহণের জন্য জকোভিচের ক্ষেত্রে এই আইন কিছুটা শিথিল করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম কর্তৃপক্ষ।
টিকা দিয়েছেন কি না সেটি পরিষ্কার করে না জানানোর পরও তাকে এমন ছাড়পত্র দেয়ায় সমালোচনা ও ক্ষোভ দেখা দেয় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের মাঝে। দেশটির নাগরিকরা অভিযোগ করেন যে করদাতা নাগরিকদের সঙ্গে কড়াকড়ি করে সরকার বিদেশিদের ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানোর পর জকোভিচকে বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। তার ভিসা বাতিল করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জকোভিচের আইনজীবীরা আদালতে এর বিরুদ্ধে মামলা করলে গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার আদালত জকোভিচের ভিসা ও অন্যান্য কাগজপত্র ফিরিয়ে দিতে বলেন।
এর চারদিনের মাথায় অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক তার ভিসা দ্বিতীয় দফায় বাতিল করেন। জকোভিচ আপিল করেন দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে।