নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বোলারদের পাশাপাশি ব্যর্থতার ধারা বজায় রেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্ল্যাক ক্যাপ পেইস তোপের সামনে প্রথম ইনিংসে ৫০ ওভারও টিকতে পারেনি মুমিনুল বাহিনী। ১২৬ রানে অল আউট হতে হয় ডমিঙ্গো শিষ্যদের।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভেতর দুই অঙ্কের রান ছুঁয়েছেন মাত্র দুজন। নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। আর ইয়াসির আলি রাব্বি করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান।
জাতীয় দলের টপ অর্ডারের ওপর দিয়ে যেন ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বয়ে গিয়েছিল কাল বৈশাখী ঝড়। ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির বলের গতিতে সৃষ্ট সেই ঝড় স্কোরবোর্ডে ২৭ রান যোগ করতেই উড়িয়ে নিয়ে গেছে সফরকারীদের পাঁচ টপ অর্ডারকে।
আর টপ অর্ডারের এই পারফরম্যান্স হতাশ করেছে জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে। ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে এই হতাশা প্রকাশ করে তিনি।
প্রিন্স বলেন, ‘অবশ্যই আমরা হতাশ। গত সপ্তাহে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। চমৎকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ১৭৩ ওভার খেলেছিলাম। প্রত্যাশিত ছিল যে নিউজিল্যান্ড খেলায় ফিরতে মরিয়া হওয়ায় সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামবে।
‘যদি দুটি ম্যাচের তুলনা করেন তবে দেখতে পাবেন যে, এক নম্বর দল হলেও ফিরে আসার লড়াই সত্যিই কঠিন। এই ম্যাচে, তাদের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে। প্রতিটি বল তারা বিচার করে খেলেছে। আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলেছে। আমাদের আরও একটা দিন লড়তে হবে।’
ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে উইকেটকে দুষছেন প্রোটিয়া এই কোচ। জানালেন উইকেটের চরিত্র বদলে যাওয়ায় টাইগাররা হোঁচট খেয়েছে। যদিও টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত সবার সঙ্গে পরামর্শ করেই নিয়েছেন মুমিনুল হক।
প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইন আপ কঠিন দিন পার করেছে আজকে। উইকেট নিয়ে বেশ সন্দেহ ছিল। গতকাল পিচটা কিছুটা নরম ছিল। কিন্তু আজ অনেক দ্রুত হয়ে উঠেছে। কিন্তু গতকালের নরম ভাবটার কারণে আজ কিছু ফাটল ছিল উইকেটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন পিচ একটু শক্ত ও দ্রুত হয়ে যায়, বল পিচে আঘাত করে, তখন সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে। কিউইদের বলে সুইংও ছিল। তারা আজ বাস্তবিক পক্ষেই দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের করা ৫২১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ফলো অনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা জেগেছে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের।