নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। চা বিরতি থেকে ফিরেই বাংলাদেশ হারিয়েছে তাদের পঞ্চম উইকেট।
রান পাহাড়ে পিষ্ট হয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই ধ্বস নেমে আসে সফরকারীদের শিবিরে। টম লেইথামের হাতে ধরা দিয়ে ট্রেন্ট বোল্টের শিকারে পরিণত হন তিনি।
কিউইদের পেইস তোপের সামনে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম শেখও। রানের খাতা খোলার আগেই দলীয় ১১ রানে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৪ রান করা শান্তকে থামান বোল্ট। আর আট বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাউথির বলে কুপোকাত অধিনায়ক মুমিনুল।
এর পর প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলে হাল ধরেন লিটন দাস ও ইয়াসির আলি রাব্বি। দেখেশুনে খেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে এই দুই জনের ব্যাটে ভর করে ২৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
চা বিরতি থেকে ফিরেই বোল্টের তৃতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস।
এর আগে ১ উইকেটের খরচায় ৩৪৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে আগের দিনের ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা ডেভন কনওয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই।
তবে সেঞ্চুরির পর তাকে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে দেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। রান আউটের শিকার হয়ে ১০৯ রানে থামেন তিনি।
এরপর ২৮ রান করে টেলর ফেরেন এবাদতের শিকার হয়ে। ব্যাক টু ব্যাক আঘাতে ফিরতে হয় হেনরি নিকোলসকেও।
দলীয় স্কোরশিটে ৯ রান যোগ করতেই ড্যারল মিচেলকে হারায় স্বাগতিকরা। এই কিউই ব্যাটসম্যানকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করে মাঠছাড়া করেন শরিফুল।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল তুলে নেন অধিনায়ক টম লেইথাম।
২০৮ রানেই থেমে যেত লেইথামের ইনিংস যদি না তাসকিনের হাত ফসকে বেড়িয়ে যেত ক্যাচটি। ম্যাচের ১০৭ তম ওভারে বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন কিউই দলপতি। তবে তাসকিনের হাতে জীবন পান এই ব্যাটসম্যান।
এরপর টম ব্ল্যান্ডেলকে সাথে নিয়ে রানের গতি বাড়ান লেইথাম। পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত ২৫০ রানে কোঠা।
তবে ক্যারিয়ার সেরা রানটা ছোয়া হয়ে ওঠেনি তার। ২৫২ রানেই অধিনায়ক মুমিনুল হকের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মিচেলকেও ফিরতে হয় তিন রান করে।
এরপর বাকি কাজটা সারেন টম ব্ল্যান্ডেল ও কাইল জেমিসন। ব্ল্যান্ডেলের দুর্দান্ত ৬০ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৫২১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড।