দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল বাংলাদেশের পেইসাররা। সেই ম্যাচে এবাদত হোসেন-তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপের সামনে এক প্রকারে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের।
দ্বিতীয় টেস্টে এসে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল পেইসারদের পারফরম্যান্স। লাইন-লেংথ মেনে বল করার কথা যেন ভুলে গেলেন জাতীয় দলের ফাস্ট বোলাররা। আর তার খেসারতে বেশ খরুচে বোলিং ফিগার ছিল তাসকিন-এবাদতদের।
বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে প্রথম দিনে ৩৪৯ রানের পুঁজি পেয়েছে কিউইরা। গোটা দিন টম লেইথাম, ডেভন কনওয়ে ছড়ি ঘুরিয়েছেন জাতীয় দলের বোলারদের ওপর।
বোলারদের ব্যর্থতা দিনশেষে অকপটে স্বীকার করে নেন জাতীয় দলের পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। দিনের খেলা শেষে বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
গিবসন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত সপ্তাহে আমরা গোছানো বোলিংয়ের যে নজির দেখিয়েছিলাম, এবার তা ধরে রাখতে পারিনি। লেইথাম খুব ভালো খেলেছে। সকালে অনেক ভালো বল সে ছেড়েছে। আমাদের বাধ্য করেছে তার শরীরে বল করতে। কনওয়ে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে। সে গিয়ে সবকিছুই সহজ করে তুলেছে।’
বাজে বোলিংয়ের জন্য গিবসন দায় দিলেন পেইসারদের অনভিজ্ঞতাকে। যদিও এ অনভিজ্ঞ পেইসাররাই মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়।
গিবসন বলেন, ‘১২ ম্যাচ খেলে এবাদত আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। শরিফুল তার তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্ট খেলছে। তাসকিন খেলেছে ৯টি। আজকের দিনটিও তাদের জন্য শিক্ষার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন ব্যাপার। প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এখানে প্রস্তুত থাকতে হয়।‘আমাদের ধারণা ছিল উইকেটে সহায়তা যতটা মিলেছে, তার চেয়ে বেশি থাকবে। যখন আমরা ফুল লেংথে বল করেছি। খুব বেশি সিম মুভমেন্ট ছিল না। নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা তা কাজে লাগিয়েছে।’