নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে টিম টাইগার্স। কিউইদের ঘরের মাঠে প্রথমবারের মত স্বাগতিকদের বিপক্ষে জয় বাগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের সাতে ঠেলে দিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।
ঐতিহাসিক এই জয়ে দলের সঙ্গে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত কারণে এই সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।
তবে ইতিহাসের অংশ হতে না পারার আক্ষেপে একটুও পুড়ছেন না দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টারবয়। বরং সতীর্থদের সাফল্যে বেশ খুশি হয়েছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
একটি মোবাইল ফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান সাকিব।
তিনি বলেন, ‘আমি বরঞ্চ খুশি হয়েছি। আমি থাকা না থাকা আমার কাছে বড় বিষয় না। আমার কাছে বড় বিষয় যেই দলটা গিয়েছে তারা কেমন রেজাল্ট করবে। আমি খুবই খুশি প্রতিটা খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের ওপর।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজে সাকিবের পাশাপাশি দলে ইনজুরির কারণে নেই তামিম ইকবালও। অপরদিকে টেস্ট থেকে অবসর নেয়ায় নেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। তারুণ্যনির্ভর দল হওয়ায় সিরিজের আগে শঙ্কা জেগেছিল টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে।
সব শঙ্কার কালো মেঘ কেটে গেছে তরুণদের পারফরম্যান্সে। সিনিয়রদের অভাব একেবারেই বুঝতে দেয়নি তরুণরা। আর তাই সাকিব মনে করেন জয়-এবাদতরা ভুল প্রমাণ করেছেন সিনিয়রদের ছাড়া জয় সম্ভব না সে কথার।
সাকিব বলেন, ‘এটা অবশ্যই ভালো দিক যে, আপনারা মিডিয়া যেভাবে মনে করেন যে আমরা চার-পাঁচ জন ছাড়া ভালো ক্রিকেটার নেই, সেটা ভুল প্রমাণিত হলো আমার ধারণা। তাদের যদি এভাবে আরও রেসপন্সিবিলিটি দেয়া যায় তাহলে আমার মনে হয় ওরা আরও ভালো করবে।’
তবে একটি টেস্ট দিয়েই দেশের ক্রিকেটের রাতারাতি বদলে যাওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে এই জয় থেকে পরিবর্তনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটি ধরে রাখতে পারলেই ভালো কিছু আসবে বলে মনে করছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘একটি টেস্ট ম্যাচ জিতেই সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায় না। তবে অনেক কিছু পরিবর্তনের একটি সম্ভাবনা তৈরি করে। তো আমার কাছে মনে হয়, সেই সম্ভাবনা তৈরি হলো। এই বিশ্বাসটা যদি আমরা রাখতে পারি, বিশেষ করে বিসিবি যদি সেই বিশ্বাসটা রাখতে পারে, তাহলে আমার কাছে মনে হয় এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেই আমাদের দলটি অনেক ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে।’