ছিলেন বিমান বাহিনীর ভলিবল দলের একজন সদস্য। সেখান থেকে ২০১৭ সালের পেইসার হান্টের মাধ্যমে ক্রিকেটে প্রবেশ। গেম ডেভেলপমেন্ট টিম, ‘এ’ দল, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে ২০১৯ সালে অভিষিক্ত হন জাতীয় দলে।
তিন বছর আগে অভিষেক হয়েও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ডানহাতি এই পেইসার। খরুচে বোলিংয়ের কারণে শিকার হয়েছিলেন সমালোচনার। হয়েছিলেন প্রশ্নবিদ্ধও।
তবে দমে যাননি ডানহাতি এই পেইসার। নিউজিল্যান্ডের পেইসবান্ধব উইকেটে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ওপর রীতিমতো ঘুরিয়েছেন দাপটের ছড়ি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন এবাদত, যা দেশের বাইরে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। তার এই অসামান্য বোলিংয়ের কল্যাণে ঘুচেছে বাংলাদেশের ২১ বছরের খরা। এসেছে কিউইদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগেও ঘরের মাটিতে চোখে পরার মতো পারফরম্যান্স আসেনি এবাদতের কাছ থেকে। হুট করেই কীভাবে বদলে গেলেন তাসমানিয়া দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে গিয়ে। স্বভাবতই জাগতে পারে এই প্রশ্ন।
উত্তরটা দিলেন এবাদত নিজেই। জানালেন পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছেন তিনি।
এবাদত ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এবাদত বলেন, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। দ্বিতীয়ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনো ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সব সময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখন বাইরে কীভাবে বল ও রিভার্স করতে হয়, সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে।’
চতুর্থ দিন চার উইকেট নিয়ে দিনটাকে নিজের করে নিয়েছিলেন এবাদত। পঞ্চম দিনের শুরুতেই বিপজ্জনক রস টেইলরকে ফিরিয়ে নিউজিল্যান্ডের ম্যাচে টিকে থাকার আশা ধুয়ে-মুছে দেন।
এরপর কাইল জেমসনকে ফিরিয়ে তুলে নেন নিজের ষষ্ঠ উইকেট।