ফেডারেশন কাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচটি হয়ে গেল সোমবার। কোয়ার্টার ফাইনালের ওই ম্যাচটিতে দুই গোলে এগিয়ে ছিল রহমতগঞ্জ। দারুণ কামব্যাকে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। পরে আরেকটি গোলে লিড নেয় অল ব্লুসরা। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে সমতায় ফেরে পুরান ঢাকার জায়ান্টরা। কিন্তু এক্সট্রা টাইমে গোল করে রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচটি জিতে নেয় রহমতগঞ্জ।
সাত গোলের রোমাঞ্চ ভরা এ ম্যাচটি জিতে নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সৈয়দ জিলানীর বাহিনী। শেখ রাসেলকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে এমন দুর্দান্ত থ্রিলার দেখেন কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আসা ফুটবল সমর্থকরা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে শেখ রাসেলকে চমকে দিয়ে লিড নেয় রহমতগঞ্জ। মাঝমাঠ থেকে সানডে চিজোবার পাসে মাটি গড়ানো বুলেট শটে দলকে লিডের উল্লাসে মাতান ফরোয়ার্ড ফিলিপ আদজাহ।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে প্রায় একই স্টাইলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিলিপ। সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে বুলেট শটে ডান বারের কোণ বরাবর বল পাঠিয়ে ২-০ ব্যবধান করেন রহমতগঞ্জের এ স্ট্রাইকার।
দুই গোলের লিডের অস্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় শেখ রাসেল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে শেখ রাসেলকে গোল এনে দেন থিয়াগো। বাঁ পায়ের নেয়া শটটা বারের বাম কোণ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে ব্যবধান ২-১ করেন এ মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে শেখ রাসেলকে সমতায় ফেরান আইজার। তার দুই মিনিটের মাথায় ম্যাচের দৃশ্য বদলে দেয় টিটু বাহিনী। এবার আইল্টন মাসাডোর গোলে প্রথমবারের মতো লিড নেয় শেখ রাসেল।
দুই দুইবার পিছিয়ে থাকার পর সমতায় ফিরেছিল শেখ রাসেল। ছবি: বাফুফে
অল ব্লুসদের এ খুশিটা টিকে মাত্র ৫ মিনিট। দারুণ নাটকে ভরা ম্যাচটা ৮৯ মিনিটে গোল করে রোমাঞ্চে ভরিয়ে দেন রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে তার নেয়া গতির শট রুখে দেয়ার সুযোগই ছিল না শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল রানার।
মুহূর্তেই ৩-৩ স্কোর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে জালের সন্ধান পায়নি গোলের খোঁজে মাতোয়ারা দুই দল।
ছয় বিদেশির গোলের দিনে জয়সূচক গোলটি আসে দেশি ফুটবলারের পা থেকে। ম্যাচের ১১৯ মিনিটে গোল করে ম্যাচের মোমেন্টাম নিজের করে নেন রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড আশরাফুল ইসলাম। জয়সূচক গোলটি করে দলকে উল্লাসে মাতান শেখ রাসেল থেকে এ মৌসুমে রহমতগঞ্জে নাম লেখানো এ ফুটবলার।
২০১৯-২০ মৌসুম ফাইনালে খেলেছিল রহমতগঞ্জ। এক আসর বাদে আরেকবার সেমি ফাইনালে পা রাখল পুরান ঢাকার জায়ান্টরা।