ঘরের মাঠের স্লো উইকেটে বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না জাতীয় দলের পেইসাররা। ফলে হোম কন্ডিশন খুব একটা কাজে লাগাতে পারেন না রাহী-এবাদত-তাসকিনরা। স্বভাবতই এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে বিদেশের পেইস বান্ধব উইকেটে।
ঘরের মাঠের মতই বাহিরের পেইস সহায়ক উইকেটে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের পেইসারদের দেখা গেছে খেই হারানো পারফরম্যান্স করতে। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে বদলে গিয়েছে সব দৃশ্যপট।
টসে জিতে বোলিংয়ে নেমে কিউই ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘুরাতে না পারলেও মোটামুটি সফল ছিলেন টাইগার পেইসাররা। আর সেই সুবাদে প্রথম দিনেই পতন ঘটেছে স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেটের।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই উইকেট বাগিয়ে নিলেও ডেভন কনওয়ের ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। রানের গতি কমাতে না পারলেও দিন শেষে বাংলাদেশের অর্জন পাঁচ টপ অর্ডারের উইকেট।
আপাতদৃষ্টিতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স না দেখালেও পেইসারদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতীয় দলের পেইস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন এই কোচ।
গিবসন বলেন, ‘প্রথম ঘণ্টায় আমরা দারুণ বোলিং করেছি। অনেকবার বল ব্যাটের পাশ দিয়ে গিয়েছে। দেখা যাবে এমন বোলিংয়ে হয়ত অন্যদিন আরও ২ থেকে ৩টা উইকেট বেশি পড়েছে। কনওয়ে ভালো খেলেছে। ছেলেরা যেভাবে বল করেছে তাতে আমি গর্বিত। ওরা সারাদিন ভালো বল করেছে। মিরাজ একটা প্রান্ত থেকে রান কম দিয়ে বল করে গেছে। দিন শেষে খেলাটা সাম্যাবস্থায় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব পেসারই ভালো করেছে। ইবাদতও ভালো করেছে। ওদের জন্য এই কন্ডিশন কিন্তু অচেনা। আমরা একটু সামনে বল করেছি। সুইং করিয়েছি। দেখা যাবে এমন বোলিংয়ে হয়ত অন্যদিন আরও ২-৩টা উইকেট বেশি পড়েছে। কনওয়ে একটুর জন্য বেঁচে গেছে। তবে এটাই হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ওদের নিয়ে আমি গর্বিত।’