বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউরোপে ডানা মেলতে চান সাফের সেরা রিপা

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৪

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে রিপার নজর এখন দেশের বাইরে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ এ ফুটবলারের চোখ এখন ইউরোপে। বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের মতো ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের জার্সিতে মাঠ মাতানোর স্বপ্ন দেখেন এই নারী ফুটবলার।

সাহেদা আক্তার রিপা। বয়স মাত্র ১৬। এই ছোট বয়সেই বড় বড়দের নজর কাড়লেন এসএসসির গন্ডি না পেরোনো এ স্ট্রাইকার। এ বয়সেই সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার বাগিয়ে কক্সবাজারের 'মেসি' জানান দিলেন নিজের শ্রেষ্ঠত্বের।

এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে রিপার নজর এখন দেশের বাইরে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ এ ফুটবলারের চোখ এখন ইউরোপে। বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের মতো ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের জার্সিতে মাঠ মাতানোর স্বপ্ন দেখেন এই নারী ফুটবলার।

রিপা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি একদিন ইউরোপের কোনো ক্লাবের জার্সিতে খেলব।’

তৃতীয় বিশ্ব থেকে ইউরোপের স্বপ্ন! বামন হয়ে চাঁদ ছোঁয়ার মতো স্বপ্ন না তো?।তার ক্যারিয়ার গ্রাফ কথা বলছে রিপার হয়েই। প্রতি পদক্ষেপে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রেখেছেন। মাত্র ১৩ বছরে যুব গেমসের সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন। গোল করেন ১৪টি। জেএফএ কাপেও সেই ধারা অব্যাহত রাখেন। হন সেরা ফুটবলার।

তখন ক্লাস টুতে পড়ি। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ হচ্ছিল সম্ভবত। আমি শুধু ড্রিবলিং করতাম। একজন দেখে বলা শুরু করল মেসি। পরে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মেসি বলা শুরু করে। নাম হয়ে যায় কক্সবাজারের মেসি।

বিকেএসপির হয়ে ভারতের সুব্রত কাপেও চমকে দিয়েছিলেন। ম্যাচ শুরুর ৪০ সেকেন্ডে গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন এ ফুটবলার। টুর্নামেন্টে বিকেএসপিকে চ্যাম্পিয়ন করে দেশে ফেরেন।তার ৩ বছর পর বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করালেন সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করে।

তার ব্যাক পাস থেকে ফাইনালে জয়সূচক গোলটি করেন আনাই মগিনি। বাংলাদেশ লেখে ইতিহাস।

রিপার ফুটবলার হওয়াটা মোটেও সহজ ছিল না। পাঁচ-ভাই বোনের সংসারে টানাপোড়েন। টাকার অভাবে রিপাকে গাইড বই কিনে দিতে পারতেন না বাবা। পরে ফুটবলকে অন্ধকার ঘরে আলো ফেরানোর বাতি হিসেবে বেছে নেন।

সেখানেও ছিল বাধা। উখিয়ার সোনাইচুরিতে ফুটবল খেলে না কোনো মেয়ে। তাতে দমিয়ে রাখা যায়নি রিপাকে।ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলে এমনভাবে নিজের প্রতিভা দেখান যে এলাকার মানুষ তাকে বলতে শুরু করে ‘কক্সবাজারের মেসি’।

আমি মেসিকে ২০১৪ সালের আগে চিনতাম না। প্রথমবার তাকে দেখি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। বাবা রোজার সময় ভোরে তুলে ম্যাচটা দেখিয়েছিলেন।

ড্রিবলিং ও খেলার ধরনে মিল থাকায় তাকে তুলনা করা শুরু হয় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সঙ্গে। কীভাবে শুরু এ তুলনা সে গলটা শোনালেন রিপা নিজেই।বলেন, ‘তখন ক্লাস টুতে পড়ি। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ হচ্ছিল সম্ভবত। আমি শুধু ড্রিবলিং করতাম। একজন দেখে বলা শুরু করল মেসি। পরে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই মেসি বলা শুরু করে। নাম হয়ে যায় কক্সবাজারের মেসি।’

মেসি নামে ডাকলেও রিপা মূলত ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর ভক্ত। তবে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের সঙ্গে নিজের নাম জুড়ে যাওয়ায় আনন্দিত রিপা।

রিপার কথায়, ‘আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর ভক্ত। তবে কেউ মেসির নামে ডাকলে ভালো লাগে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের নামে ডাকছে এটা আনন্দের।’মেসিকে নিয়ে নিজের একটা মজার গল্প শোনান রিপা, ‘আমি মেসিকে ২০১৪ সালের আগে চিনতাম না। প্রথমবার তাকে দেখি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। বাবা রোজার সময় ভোরে তুলে ম্যাচটা দেখিয়েছিলেন।’

দু-পায়ে তুখোড় ফুটবল নৈপুণ্য দেখানো রিপা আপাতত নিজেকে প্রস্তুত করতে চান সিনিয়র দলের জন্য। তার ইচ্ছা একদিন দেশের নারী ফুটবলের ব্যক্তিগত সকল রেকর্ড নিজের করে নেবেন। ভাঙতে চান সাবিনা খাতুনের গড়া সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।

রিপা বলেন, ‘এখনও সিনিয়র জাতীয় দলে খেলি নাই। জাতীয় দলে আরও ভালো করতে চাই। একসময় আমার নামের পাশে জাতীয় দলে গোলের সকল রেকর্ড থাকবে সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রফি জিতবে এমনটা চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর