একে তো নেই শ্রবণশক্তি, তার ওপর নেই কথা বলার ক্ষমতাটুকুও। কিন্তু শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা দমিয়ে রাখতে পারেনি আকসার আহমেদকে। গতির পাশাপাশি ভেরিয়েশন দিয়ে ইতোমধ্যেই নজরে এসেছেন সিলেটের এই তরুণ।
লাইমলাইটের আড়ালে থাকা এই তরুণ ফ্রন্টলাইনে চলে আসে সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে আবাহনীর হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার যাতে হারিয়ে না যায় সে কারণে তার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
আগামী এক বছরের জন্য আকসারের সকল প্রকার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানায় থাকা আখতার গ্রুপ। শুধু তাই নয়, আসন্ন বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে নেট বোলিংয়ের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে তাকে।
বুধবার এক সংবাদসম্মেলনে বিষয়টি জানান চট্টগ্রামের কর্তারা।
দলটির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইয়াসির আলম বললেন, ‘আমরা শুরু করছি আকসারকে নিয়েই। ওর যথাযথ পুষ্টির জন্য পরবর্তী একবছর সহায়তা করব, যেন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। ওকে নিয়ে কাজ শুরুর কারণ হল, ওর প্রতিবন্ধকতা দিয়ে শুরু। কথা বলতে পারে না, কথা শুনতেও পারে না। কিন্তু যদি ওর প্র্যাকটিস দেখেন, বোলিং দেখেন, ডিভিশন ক্রিকেটে অনেকগুলো ম্যাচও খেলেছে।’
শুধু আকসারেই থেমে থাকতে নারাজ চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি। ভবিষ্যতে এমন সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ক্রিকেটার খুঁজে বের করে তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় দলটির পক্ষ হতে।
ইয়াসির বলেন, ‘আমরা সামনের বছরে আরও কিছু ছেলে খুঁজব, বোলার হতে পারে, ব্যাটসম্যান হতে পারে। আমাদের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটাররা যেন বুঝতে পারেন প্রতিবন্ধকতা নিয়েও সামনে যাওয়া যায়, সহযোগিতা মেলে। যদি ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের জন্য দশজন মিলে চেষ্টা করি, সেখান থেকে জাতীয় দলে দুজন বের হলেই হয়। আমরা ভবিষ্যতে আরও অবদান রাখব।’
দ্বিতীয় বিভাগে নিজের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে আকসার জানান দিয়েছিলেন তার আবির্ভাবের কথা। মেধাবী এই ক্রিকেটারকে বিপিএলের অষ্টম আসরের ড্রাফটে না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন চট্টগ্রামের এই কর্তা।
ইয়াসির বলেন, ‘আকসারের প্রতিভা দেখে আমরা অবাক। বিপিএলের ড্রাফটে থাকলে আমরা তাকে নিয়ে নিতাম। তবে ক্যাম্পে থাকবে, কোচের সঙ্গে থাকবে, যতটুকু স্কিল নেয়া যায়।’