নির্ধারিত সময় শেষে ঢাকা আবাহনী ও শেখ রাসেল ম্যাচের স্কোর ২-২। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে তাই সমতায় থাকা ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। এতে ম্যাচটির নিষ্পত্তি হলো ৩০ শটে!
কমলাপুর শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ম্যাচে বুধবার এমন ঘটনার সাক্ষী হলো ফুটবল সমর্থকরা।
টাইব্রেকারে ১৩-১২ ব্যবধানে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ রাসেল।
উত্তর বারিধারা টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করায় ‘বি’ গ্রুপ থেকে ওয়াকওভার পায় ঢাকা আবাহনী ও শেখ রাসেল।
এ দুই দল বুধবার মাঠে নামে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণী ম্যাচে।
স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ম্যাচের শুরুতেই গোল দিয়ে শুভসূচনা করে। অষ্টম মিনিটে ডরিয়েল্টনের গোলে লিড নেয় আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।
সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি শেখ রাসেল। মান্নাফ রাব্বির গোলে ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় স্কোর ১-১ করে অল ব্লুসরা।
ডরিয়েল্টনের গোলে দুবার ম্যাচের লিড নেয় ঢাকা আবাহনী। ছবি: বাফুফে
দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ লড়াই দেখেছে ফুটবলপ্রেমীরা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ডরিয়েল্টনের গোলে আবারও লিড নেয় আবাহনী। ফের কামব্যাক করে শেখ রাসেলও।
ব্রাজিলিয়ান আইল্টন মাসাডোর গোলে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে সমতায় ফেরে সাইফুল বারী টিটুর বাহিনী। ২-২ স্কোরে সমতায় থাকা ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
মান্নাফ রাব্বি ও আইল্টনের গোলে দুবার পিছিয়ে থেকে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ছবি: বাফুফে
সেখানে অপেক্ষা করছিল আরও রোমাঞ্চ। দুই দলের ২২ জন নিলেন পেনাল্টি শট। সেখানে ৯-৯ এ সমতা। সাডেন ডেথে ম্যাচ চলে গেলে নিতে হয় আরও ৮টি শট। প্রত্যেক দল থেকে চারজন নেন সেই চ্যালেঞ্জ। ৩০ শটে এলো ফল।
নিজেদের ১৫তম শটটি মিস করেন আবাহনীর মিডফিল্ডার ইমন বাবু। সেই ব্যর্থতাকে সুযোগে পরিণত করতে ভুল করেনি শেখ রাসেল। গোলকিপার প্রিতমকে ফাঁকি দিয়ে দলকে জয় এনে দেন আবাহনীর সাবেক ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন।
১৩-১২ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল শেখ রাসেল। আর রানার আপ হয়ে নক আউট পর্বে ঢাকা আবাহনী।